পকেটে করে জীবিত সাপ পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। কালো পোশাক এবং সাদা টুপি পরা যাত্রীকে দেখে সন্দেহ হয় বিমানবন্দরে কর্মরত কাস্টম অফিসারদের। তাকে ভালোভাবে তল্লাশি করতেই পকেট থেকে মোজার মধ্যে থাকা ১৪টি জীবিত সাপ উদ্ধার করা হয়।
চিনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর শেনজেনে এ ঘটনা ঘটে। চিন-হংকং সীমানার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ ফুতিয়ান বন্দরে, যাত্রী, চেকপয়েন্টে দাঁড়িয়ে একজন ব্যাক্তি উদ্বিগ্নভাবে তার পকেটে হাত দিচ্ছিলেন। কর্মরত কাস্টম অফিসাররা লক্ষ্য করেন লোকটিকে নার্ভাস দেখাচ্ছে, এবং সে বারবার চোখের যোগাযোগ এড়িয়ে যাচ্ছে। আর তাই দেখেই প্রাথমিক সন্দেহ হয় অফিসারদের, তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় সাপগুলি। এরপরেই তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া সাপগুলিকে অফিসারেরা সাবধানে মোজা খুলে একে একে বের করে প্লাস্টিকের পাত্রে রাখে। পরে তা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১৪টি সাপের মধ্যে তিনটিকে বল পাইথন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা রয়্যাল পাইথন নামেও পরিচিত। এই সাপগুলি বিপদাপন্ন প্রজাতির অন্তর্গত। আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার'স-এর লাল তালিকাভুক্ত সাপগুলিই পাচার করছিল ওই ব্যক্তি।
চিনের আইন অনুযায়ী, দেশের মধ্যে বা বাইরে পাচারের জন্য উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলিকে, আইনগতভাবে ছেড়ে দেওয়ার আগে তাদের অবশ্যই শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে। উদ্ধার হওয়া প্রাণীদের কিছুদিনের জন্য আলাদা ভাবে নজরে রাখতে হবে। পাচারকারীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ১৪টি সাপের শারীরিক পরীক্ষার পর উপযুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পূর্ব চিনের ঝাঝিয়াং প্রদেশের একটি রেল স্টেশনে এইরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। ৫০টি অত্যন্ত বিষধর সাপ সহ একজন ব্যাক্তিকে আটক করেছিল চিনা পুলিশ। ‘স্নেক ওয়াইন’ বানানোর জন্য সাপগুলিকে বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। গত মাসে, একজন মহিলা সাপ পাচার করার চেষ্টায় আটক হয়েছিল ফুটিয়ান বন্দরে। যুগ যুগ ধরে চিনে সাপ স্নেক ওয়াইন শক্তিবর্ধক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই কারণে চোরাচালানকারীরা টাকায় লোভে এই বন্য বন্যপ্রাণী পাচার করে থাকে। ফুতিয়ান বন্দরের কাস্টম অফিসারেরা রক্ষা করল ১৪ টি বন্যপ্রাণ।