৩৭-এ পা দিয়েছেন টলিউডের অন্যতম চর্চিত নায়িকা শ্রাবন্তী। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন হামেশাই থাকে সংবাদ শিরোনামে। তৃতীয় বিয়ে ভাঙার মাঝেই একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর প্রেমচর্চা নিয়ে মুচমুচে গসিপের শেষ নেই টলিগঞ্জে। কিন্তু নিজের শর্তেই জীবন কাটাতে ভালোবাসেন শ্রাবন্তী। নায়িকার পাশাপাশি তাঁর ছেলের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চর্চার শেষ নেই।
শ্রাবন্তী পুত্র এখন একুশের ঝকঝকে তরুণ। গত ১৪ই অগস্ট ছিল ঝিনুকের জন্মদিন। একদিনের ব্যবধানে জন্মদিন মা-ছেলের। যদিও এই বছর জন্মদিনে একে অপরের পাশে ছিলেন না তাঁরা। কারণ জন্মদিনে প্রেমিকার হাত ধরে থাইল্যান্ডের পাটায়া উড়ে গিয়েছেন শ্রাবন্তী-পুত্র অভিমন্যু (ঝিনুকের আসল নাম)। ১৮-র গণ্ডি পার করবার আগেই মডেল দামিনী ঘোষের সঙ্গে নিজের প্রেম সম্পর্কে শিলমোহর দিয়েছিলেন অভিমন্যু চট্টোপাধ্যায়। গত তিন বছর ধরে চুটিয়ে প্রেম করছেন অভিমন্যু-দামিনী। এই জুটির রোম্যান্সে বুঁদ ছবি হামেশাই ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ছেলের লাভ লাইফের খুটিনাটি ভালোভাবেই জানা শ্রাবন্তীর। মা-ছেলের বয়সের ব্যবধান মাত্র ১৭ বছরের। শ্রাবন্তীর কথায়, ‘আমাদের সম্পর্ক অনেকটা ভাইবোনের মতো’। সম্প্রতি পাটায়া থেকে বিকিনিতে সুপার সেক্সি ছবি পোস্ট করেছেন দামিনী। বেগুনি রঙা শিমারি বিকিনিতে পুলের নীল জলে উজ্বল দামিনী। গ্ল্যামার যেন ফেটে পড়ছে। প্রথম ছবিতে পুলের জলে পা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে পুলের ধারে বসা দামিনীর খোলা পিঠে ভরা যৌবনের ঢেউ! ছবি দুটি কে তুলেছে তা আর নতুন করে বলার দরকার নেই।
এই ছবি দেখে স্থির থাকতে পারেননি শ্রাবন্তীও। ছেলের প্রেমিকার পোস্টের কমেন্ট বক্সে আগুনের ইমোজি যোগ করেন শ্রাবন্তী। নিন্দকরা যদিও ছেড়ে কথা বলেননি। একজনের প্রশ্ন, ‘তোমার শাশুড়ি কোথায়?’ অপরজন কটাক্ষ করে লেখেন- ‘বিয়ের আগেই হানিমুনে ব্যস্ত’।
ব্যস্ততার জেরে এইবার থাইল্যান্ড ট্রিপে ছেলে আর দামিনীর সঙ্গে হাজির হননি শ্রাবন্তী। তবে একসঙ্গে প্রায়শয়ই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। সেই নিয়েও কম কটাক্ষ শুনতে হয় না শ্রাবন্তী। এই প্রসঙ্গে নায়িকার সাফ জবাব, ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে! আমার জীবন একটাই, আমি তো ভুল কিছু করছি না।’
শ্রাবন্তী ও তাঁর প্রথম স্বামী পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের একমাত্র সন্তান অভিমন্যু। ভবিষ্যতে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করার ইচ্ছে ঝিনুকের। তবে অভিনয় নয়, বাবার মতো ক্যামেরার পিছনে কাজ করতে আগ্রহী সে। ইতিমধ্যেই মানবজমিন ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজও করেছে শ্রাবন্তীর ছেলে। ছেলের সঙ্গে বন্ধুর মতোই মেশেন শ্রাবন্তী, তবে ছেলের সঙ্গে তাঁর বাবার যোগাযোগ আছে কিনা সেই ব্যাপারে কোনও ধারণা নেই তাঁর।