মায়ানমারে জে়ড খনিতে ধস নেমে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। মঙ্গলবার তাঁদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও অন্তত ১৪ জন নিখোঁজ বলে খবর। সেক্ষেত্রে আশঙ্কা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
গত কয়েক দিন ধরেই মায়ানমারের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বর্ষণ চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার থেকে একাধিক জায়গায় ভূমিধসের খবর মেলে। এর মধ্যেই জ়েড খনিতে ধস নামে।
মায়ানমারের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে রয়েছে জে়ড খনি। বস্তুত, মায়ানমারের ব্যবসাবাণিজ্যে এই খনির বড় ভূমিকা আছে। মায়ানমারের উত্তরাংশ জ়েড এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা। দামি কাঠ, সোনা ইত্যাদি রয়েছে। এই প্রাকৃতিক প্রাচুর্যের দখল নিয়ে বার বার মায়ানমারে দশকব্যাপী গৃহযুদ্ধ হয়েছে। অন্য দিকে, দেশের ‘অনিয়ন্ত্রিত’ এই শিল্পে বারবার কর্মী মৃত্যুর ঘটনা শোনা যায়।
এর আগে ২০২০ সালে ধস নেমেছিল ওই খনিতে। তাতে ১৭০ জনের বেশি কর্মী প্রাণ হারান। পরিবেশকর্মী এবং মানবাধিকার সংগঠন এ নিয়ে দীর্ঘ দিন লড়াই চালাচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। বুধবার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে উদ্ধারকারী দলের এক কর্মী বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যে ২৫ জনের দেহ উদ্ধার করেছি। ১৪ জন এখনও নিখোঁজ। তাঁদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা জারি রয়েছে।’’