বিয়ের বন্ধনে আর জড়াতে চাই না, শ্রাবন্তী


তামান্না হাবিব নিশু : , আপডেট করা হয়েছে : 13-08-2023

বিয়ের বন্ধনে আর জড়াতে চাই না, শ্রাবন্তী

রুবির কাছাকাছি বিলাসবহুল আবাসনে ৩৭ তলায় নায়িকার ফ্ল্যাট। সেখান থেকে প্রায় গোটা কলকাতা দৃশ্যমান। নীচের দিকে নয়, বরং তিনি চোখ রাখেন আকাশে। চাঁদের আলো তাঁকে বড্ড টানে। নায়িকার জন্মদিনের আগে সেই ফ্ল্যাটেই শুরু হল আড্ডা। সেই আড্ডায় রুপোলি পর্দার নায়িকা নন, কখনও ধরা পড়লেন বাড়ির মেয়ে, কখনও ঝিনুকের মা।

শ্রাবন্তী বলেন, আমার বয়স সবাই জানে। আসলে আমি লুকিয়ে রাখায় বিশ্বাসী নই। আমি কবে মা হয়েছি, কবে কাজ শুরু করেছি সবটাই তো সকলের চোখের সামনে। আমি কত ভাল নিজেকে মেনটেন করতে পেরেছি, সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

শরীরের দিকে একটু বাড়তি নজর দিচ্ছি কারন আমি খেতে খুব ভালবাসি। কিন্তু মাঝে লাগামছাড়া খাওয়াদাওয়া হচ্ছিল। তাই ভাবলাম, নাহ্‌, এ বার শরীরের যত্ন নিতে হবে। কারণ, সামনে বেশ কিছু কাজ রয়েছে। এ ছাড়াও ফিটনেসটা আমাদের পেশায় খুব দরকার। তবে জিরো ফিগারে বিশ্বাসী নই। আমার ধারণা, আমাকে দেখতে খুব খারাপ লাগবে অতটা রোগা হলে। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বা আমার অনুরাগীও আমাকে একটু গোলগাল দেখতেই ভালবাসেন।

সবার সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক। অনেক বছর ধরে কাজ করছি, লোকে আমার কাজ দেখছেন, চেনেন। তবে আমার মনে হয় প্রতিভাই শেষ কথা বলে। তাই সিঙ্গেল বলেই পরিস্থিতি কঠোর, এমন আমি বিশ্বাস করি না।

এই বছরটা আমার ব্যস্ততার কারণে সময় বার করতে পারিনি। তবে আশা করছি, আগামী বছর দেব এবং আমি একসঙ্গে ছবি করতে পারব। অভিনেত্রী হিসাবে বেশ কয়েক বছর আগে বলিউড থেকে প্রস্তাব আসে। তবে কাজটা করা হয়নি।  অনেক ধরনের চরিত্রই করছি। তবে আমার প্রচুর খিদে।   ‘

শ্রাবন্তী সবচেয়ে বড় কথা, অভিনয়টা ভালবাসি। মন থেকে কিছু ভালবাসলে, সেটা ভাল হতে বাধ্য। আমি মানুষটাই খুব পজ়েটিভ। আমি বুঝতে পারি না, কে আমার শত্রু। সকলেই আসলে আমার সামনে অন্তত ভাল ব্যবহার করে। হয়তো সেই কারণেই বুঝি না। তবে, আমার স্কুলের বন্ধুদের একটা গ্রুপ আছে। সেটা আমার একান্ত আপন। ইন্ডাস্ট্রির কেউ নেই সেখানে। ইন্ডাস্ট্রির কেউই ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ নয়।

কোনও পুরুষের সঙ্গে ছবি তুললেই নাকি প্রেম হয়ে যায়! যে হেতু আমার অতীতের সম্পর্কগুলোতে সমস্যা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কেউ আমার বিচার করতে পারেন না। শুভ্রজিৎদার সঙ্গে ‘দেবী চৌধুরাণী’র মতো এত বড় ছবি করছি বলে অনেকের মনে হতে পারে, পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে কাজ পেয়েছি।  শুভ্রজিৎদা নিশ্চয়ই কোনও স্পার্ক দেখতে পেয়েছে বলেই এই প্রস্তাব দিয়েছে। আমি কিন্তু বরাবরই এই ধরনের পিরিয়ড ছবি করার কথা ‘ম্যানিফেস্ট’ করতাম।

যদি সাধারণ মেয়ের মতো অফিস করতাম, সংসার করতাম, তা হলে তো আলোচনা হত না। তবে আমি ফেসবুকে এ সব দেখে হাসাহাসি করি।

খুব খারাপ লাগে যখন এগুলো শুনি। ওঁর ব্যক্তিগত জীবনে কী হচ্ছে, না হচ্ছে আমার দেখার বিষয় নয়। আর জীতুকে ২০১২ সাল থেকে চিনি। যে হেতু এখন ওঁর সঙ্গে কাজ করছি, তাই আমার নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। একটা খবর ছড়ালে হাজারটা খবর শুরু হয়। আমার মনে হয়, সাইবার ক্রাইমের বিষয়টা দেখা উচিত।

সমাজমাধ্যমে নেতিবাচক খবর লোকে বেশি দেখে। আমি কাজ করব, নিজের কর্মফল পাব, ব্যস! পাঁচ বছর হল এই ফ্ল্যাটে আছি। আমার শোয়ার বিছানায় যখন পূর্ণিমার চাঁদের আলো পড়ে, সেটা আমার দারুণ লাগে। আমি অপেক্ষায় থাকি পূর্ণিমার রাতগুলোর। আসলে আমি ‘সেলেনোফিল’ (চাঁদপ্রেমী)। ওই সময় বিছানায় শুয়ে শুয়ে গান শুনি। 


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]