ভারতের মণিপুরে কুকির পর এবার মেইতেই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ৯ আগস্ট বিষ্ণুপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন ওই ভুক্তভুগী নারী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করলেও এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। খবর এনডিটিভির।
কুকি সম্প্রদায়ের নারীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসার পর এবার প্রকাশ্যে আসলো মেইতেই নারীর প্রতি সহিংসতা। কুকি সম্প্রদায়ের কিছু পুরুষের বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন ৩৭ বছর বয়সী মেইতেই এক নারী।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ মে তাদের বাড়িতে দুর্বত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর দুই ছেলে, ভাগ্নি এবং ননদকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় একদল লোকের কাছে ধরা পড়ে ধর্ষণের শিকার হন তিনি।
এফআইআরের সঙ্গে দেয়া এক বিবৃতিতে ওই নারী বলেন, আমি নিজের এবং আমার পরিবারের সম্মান, মর্যাদা রক্ষা এবং সামাজিক বর্বরতা থেকে বাঁচার জন্য ঘটনাটি প্রকাশ করিনি। সামাজিক কলঙ্কের কারণে এই অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব...। এমনকি আমি নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম।
অভিযোগ তদন্তের জন্য চুরাচাঁদপুর থানায় পাঠিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ তদন্ত শুরু করলেও এখনও কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (১১ আগস্ট) মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ করেছেন মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। নতুন করে আবারও ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসায় সামনে মণিপুর আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার শঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
মে মাসের শুরুর দিকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে ছড়িয়ে পড়ে জাতিগত সহিংসতা। গত তিন মাসে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। গৃহহীন হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার। অসংখ্য নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। সেই সহিংসতা ও উত্তেজনা এখনও প্রশমিত হয়নি।