যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। তবে গত বছর এক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে দেশটি। ২০২২ সালে দেশটিতে আত্মহত্যা করেছে ৪৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় ৭৯ শতাংশ পুরুষ। সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রকাশিত তথ্যানুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আত্মহত্যা খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৯৪১ সালে দেশটিতে আত্মহত্যার হার সর্বোচ্চ ছিল। এরপর ২০০০ সালের পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এর হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ২০১৮ সালে দেশটিতে ৪৮ হাজার ৩০০জন আত্মহত্যা করেন। অর্থাৎ প্রতি ১ লাখ আমেরিকানের মধ্যে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ তাদের নিজের প্রাণ নিজে কেড়ে নিচ্ছেন।
এরপর করোনা মহামারির প্রথম বছর ২০১৯ সালে এই হার কিছুটা কমে আসে। পরের বছর ২০২০ সালেও এই হার বেশ কম ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে আত্মহত্যার হার বিগত বছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেড়ে যায়।
গত বছর এই হার ২০১৮ সালের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যা করেন ৪৯ হাজার ৪৪৯জন; যা বিগত বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি। সিডিসির তথ্যানুসারে, ২০২২ সালে যারা আত্মহত্যা করেছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই পুরুষ।
এক বিবৃতিতে মার্কিন স্বাস্থ্য সচিব জেভিয়ার বেসেরা বলেছেন, ‘প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন আমরিকান বিশ্বাস করেন যে তারা মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভূগছেন। এই কারণেই সিডিসিরি এই ডাটা প্রকাশ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক মানুষই মনে করেন মানসিক চিকিৎসা নেয়া এক ধরনের দূর্বলতা।’
এ বিষয়ে সিডিসি জানিয়েছে, ‘আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে প্রাপ্তবয়স্ক ও বৃদ্ধদের মধ্যে। ৪৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ৬৫ বছরের উর্ধ্বে বেড়েছে ৮ শতাংশ। এছাড়াও শেতাঙ্গদের মধ্যে এই হার সবচেয়ে বেশি।’