ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর খারসনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার রাশিয়ার দাবি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়, 'শহরটির এখনও পতন হয়নি। আমরা এখনও প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছি।’
তবে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে খারসনের রাস্তায় রুশ সৈন্যরা টহল দিচ্ছে। এদিকে দক্ষিণের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর মারিওপোলে রুশ সৈন্যরা ঘিরে ফেলে ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করেছে।
মারিওপোলের মেয়র বলেছেন, রাতভর রুশ গোলাবর্ষণে প্রচুর বেসামরিক লোকের মুত্যু হয়েছে। অবশ্য তিনি কোনো সংখ্যা বলতে পারেননি।
ওদিকে রাজধানী কিয়েভ থেকে বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলেছেন, শহরে সকাল থেকে একধরনের ভীতিকর নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে।
কিয়েভের মেয়র বাসিন্দাদের সতর্ক করেছেন রুশ সৈন্যরা শহরের দিকে এগোচ্ছে। তিনি তাদের ঘরে থাকতে এবং প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি কীভাবে কিয়েভকে রক্ষা করব। আমি কিয়েভের মানুষদের বলছি তারা যেন সাহস না হারান। শত্রু ক্রমেই কাছে চলে আসছে,’ বলেন মেয়র ভিতালি ক্লিচকো।
এদিকে এই যুদ্ধ যেকোনো সময় ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়, তাহলে সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে এবং সেটি হবে ধ্বংসাত্মক।
বুধবার (২ মার্চ) তিনি এই মন্তব্য করেন বলে রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএ’র বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ল্যাভরভ বলেন, কিয়েভ যদি পরমাণু অস্ত্র অর্জন করে, তাহলে তা হবে রাশিয়ার জন্য ‘সত্যিকারের বিপদ’।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালাচ্ছে লাখো মানুষ।
পরে যুদ্ধবিরতিতে আসতে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলারুশে প্রথমবার আলোচনায় বসে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। তবে আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি। তাই দুই দেশকেই দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসতে হচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় জনবহুল শহর খারকিভে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত ২১ জন নিহত এবং ১২২ জন আহত হয়েছেন। শহরটির মেয়রের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাজশাহীর সময় /এএইচ