গণধর্ষণের পর জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে কিশোরীকে !


সুমাইয়া তাবাস্সুম: , আপডেট করা হয়েছে : 08-08-2023

গণধর্ষণের পর জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে কিশোরীকে !

মেয়েকে গণধর্ষণের পর জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে কয়লা চুল্লিতে। মরণ চেয়ে মেয়ের চিতাতেই ঝাঁপ বাবার। চুল্লির মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল কিশোরীর হাতের রুপোর ব্রেসলেট। চুল্লির আগুনে পাওয়া যায় হাড়ের টুকরো। ভয়ংকর এই ঘটনা সামনে আসতেই শিউরে ওঠে গোটা দেশ। ১৪ বছরের সেই নির্যাতিতা কিশোরীর অন্ত্যেষ্টির সময় তার চিতায় ঝাঁপ দেন বাবা। মেয়েকে হারানোর কষ্ট-যন্ত্রণায় মেয়ের সঙ্গেই সহমরণে যেতে চান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চিতার আগুনে গুরুতর জখম হয়েছেন বাবা। উদ্ধারের পর তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাবা বর্তমানে বিপন্মুক্ত। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। 

বিভীষিকার রাজস্থান! কিশোরীকে গণধর্ষণের পর জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ভিলওয়াড়াতে। ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের পর রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলায় একটি কয়লা চুল্লিতে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে ২ অগাস্ট। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ওই কিশোরীকে কয়লা চুল্লিতে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার কথা জানিয়েছেন ভিলওয়াড়া জেলার কোটরি থানার পুলিস। জীবন্ত পুড়িয়ে মারার আগে গণধর্ষণের কথাও জানিয়েছে পুলিস। গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্যই তাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

নির্যাতিতার বড় ভাই জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টার দিকে বোন ছাগল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকাল ৩টের দিকে ছাগলগুলো ফিরলেও বোন আর ফিরে আসেনি। গ্রামের সব আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি খোঁজাখুঁজি করেও বোনের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর রাত ৮টার দিকে, গ্রামের বাইরের ক্যাম্পে কয়লা পোড়ানোর একটি চুল্লি দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীরা আবার অনুসন্ধান শুরু করে। এখন বৃষ্টির সময় যেহেতু চুল্লি জ্বলে না, তাই তাদের সন্দেহ হয়। সন্দেহ হওয়াতেই তারা চুল্লির কাছে এগিয়ে যায়। 

এরপরই তারা ওই চুল্লির পাশে নির্যাতিতার এক জোড়া জুতা খুঁজে পায়। এমনকি চুল্লির মধ্যে পাওয়া যায় ওই কিশোরীর হাতের রুপোর ব্রেসলেট। শুধু তাই নয়, চুল্লির আগুনে হাড়ের টুকরোও দেখতে পান গ্রামবাসীরা। ঘটনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে গ্রামবাসীরা তখন কয়েকজনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন। তাতেই সামনে আসে তিন দুর্বৃত্তের অপরাধের ইতি-বৃতান্ত। ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্তরা। এরপরই পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন চার থানার পুলিস কর্মকর্তারা। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]