তীব্র বজ্রঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। ঝড়ের তোড়ে উপড়ে গেছে গাছপালা। বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে মেরিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়ার ২ লাখ ঘরবাড়ি ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও অন্ধকারে রয়েছে দক্ষিণ ও মধ্য আটলান্টিকের ৮ লাখ মানুষ। বিরুপ আবহাওয়ার কারণে কয়েক হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়াও টর্নেডোর আশঙ্কায় স্থানীয় সময় সোমবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসির সব সরকারি অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়। খবর রয়টার্সের।
এদিকে সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, তীব্র ঝড়ের কবলে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রে দুই জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন, অন্য আরেকজনের গাছ উপড়ে পড়ে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে যদিও টর্নেডোর সতর্ক সংকেত নামিয়ে নেয়া হয়েছে, তবে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বন্যার সতর্কতা এখনো জারি রয়েছে।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, সোমবার আলাবামা থেকে শুরু করে নিউইয়র্কের ২ কোটি ৯৫ লাখেরও বেশি মানুষ টর্নেডোর ঝুঁকিতে ছিলেন। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্ত কোনো টর্নেডোর খবর পাওয়া যায়নি।
বজ্রঝড়ের কারণে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, ফিলাডেলফিয়া, আটলান্টা এবং বাল্টিমোর বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিলের নির্দেশ দেয় ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এসব অঞ্চলে ২ হাজার ৬০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিলম্বিত হয়েছে আরও ৭ হাজার ৭০০ ফ্লাইট।
এদিন খারাপ আবহাওয়ার কারণে ওয়াশিংটনের লাইব্রেরি, জাদুঘর, জাতীয় চিড়িয়াখানা, পুল এবং অন্যান্য পৌর ও ফেডারেল পরিষেবাগুলো বিকেল ৩টার পরপরই বন্ধ করে দেয়া হয়।