আল্লাহ তাআলার তাঁর পরিচয় দিয়ে যে সুরা পেশ করেছেন তা হলো সুরা আল-ইখলাস। এ সুরায় আল্লাহ তাআলা এ সুরায় তাঁর গুণ ও পরিচয় তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহুস সামাদ বা আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।’
হাদিসে পাকে আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামের জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিলের ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষ যদি আল্লাহর সুন্দর সুন্দর গুণবাচক নামগুলোর যথাযথ আমল করে তবে ফজিলত লাভের পাশাপাশি অনেক উপকৃত হবে। আর তাঁর গুণবাচক নামের জিকিরের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো পরকালে জান্নাত লাভ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি এ গুণবাচক নামগুলোর জিকির করবে; সে জান্নাতে যাবে।’
আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে (اَلصَّمَدُ) ‘আস-সামাদু’ একটি।
এ গুণবাচক নামের আমেল দুশমনের আক্রমণ এবং ক্ষুধার যন্ত্রণাসহ অনেক কল্যাণ লাভ হয়।
আল্লাহর গুণবাচক নাম (اَلصَّمَدُ) ‘আল-সামাদু’-এর জিকিরের আমল ও ফজিলত তুলে ধরা হলো-
অর্থ : ‘তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন; অভাবমুক্ত; স্বয়ংসম্পূর্ণ; সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী’
মনে রাখতে হবে
মানব যখন ভয়ে-আতংকে মুষড়ে পড়ে তখন তাঁর কাছে ছুটে গেলে তিনি তাতে প্রশান্তির সুধা ঢেলে দেন। আনন্দ-বেদনায়, সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় হৃদয় তাঁর দিকেই ধাবিত হয়। মানুষ তাঁর কাছেই খুঁজে পায় অনাবিল শান্তি।
আল্লাহর গুণবাচক নাম (اَلْوَاحِدُ الْاَحَدُ)-এর আমল
ফজিলত
>> যে ব্যক্তি সাহরির সময় অথবা মধ্যরাতে সেজদায় গিয়ে আল্লাহ তাআলার এ পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلصَّمَدُ) ‘আল-সামাদু’-১১৫ বার পাঠ করে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সত্যবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং দুশমনের হাত তার শরীরে লাগবে না অর্থাৎ দুশমনের আক্রমণ থেকে তাঁকে রক্ষা করবেন।
>> যে ব্যক্তি সব সময় আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلصَّمَدُ) ‘আল-সামাদু’ পাঠ করে; সে ব্যক্তি কখনো ক্ষুধার্ত হবে না।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ লাভে সব সময় তাঁর গুনবাচক নাম (اَلصَّمَدُ) ‘আল-সামাদু’-এর জিকির বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।