তাইওয়ানের মুখোমুখি দক্ষিণ চিন সাগরের নৌঘাঁটি চিনের


রিয়াজ উদ্দিন: , আপডেট করা হয়েছে : 05-08-2023

তাইওয়ানের মুখোমুখি দক্ষিণ চিন সাগরের নৌঘাঁটি  চিনের

দক্ষিণ চিন সাগরে আধিপত্য বিস্তারের পথে আরও একধাপ এগোলো চিন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার নতুন নৌঘাঁটি তৈরি করেছে  চিনের পিপল্‌‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। উপগ্রহ চিত্র থেকে স্পষ্ট, কম্বোডিয়ার ওই নৌঘাঁটি বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যুদ্ধজাহাজের আনাগোনাও লক্ষ্য করা গেছে।  চিনের এই সামরিক উপস্থিতি অদূর ভবিষ্যতে দক্ষিণ চিন সাগরে নিরাপত্তার পক্ষে ‘আশঙ্কার কারণ’ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে ভারত।

দক্ষিণ চিন সাগরের পাশাপাশি গোটা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্রুত আধিপত্য বিস্তারের পথে হাঁটতে চাইছে শি চিনফিং সরকার। কয়েক বছর আগেই মায়ানমারের কোকো দ্বীপে চিন গোপন নৌঘাঁটি বানিয়েছে বলে বিভিন্ন পশ্চিমী সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে। 

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উত্তরের ইস্ট দ্বীপ এবং ল্যান্ডফল দ্বীপের অদূরের ওই দ্বীপে চিনা ফৌজের উপস্থিতি ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে আশঙ্কাজনক বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কম্বোডিয়ার অবস্থান ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। এখানেই রয়েছে তাইওয়ানও। যে তাইওয়ান দখলের চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে চিন প্রশাসন। তাই কম্বোডিয়ায় নৌঘাঁটি তৈরি হলে চিনের সেনা সহজেই সেখান থেকে আমেরিকা সেনাবাহিনীর কার্যকলাপে নজর রাখতে পারবে। যে আমেরিকা এই মুহূর্তে তাইওয়ানের অঘোষিত অভিভাবক। পূর্ব আফ্রিকার জিবোতিতে আগেই আন্তর্জাতিক নৌ ঘাঁটি ছিল চিনের। কম্বোডিয়ার নৌঘাঁটি হলে সেখান থেকে আরও বড় যুদ্ধজাহাজ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।



Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]