শারীরিক বৃদ্ধি ও ইমিউনিটির জন্য দেহে পুষ্টির দরকার পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ জোর দেয় ভিটামিনের উপর। কিন্তু দেহে খনিজ পদার্থের ঘাটতি থাকলেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন এ, বি, সি, ই, কে-এর মতো জরুরি ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ইত্যাদি। এগুলো দাঁত-চুল-হাড় গঠনে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
দেহে ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি থাকলে নানা উপসর্গ প্রকাশ পায়। এমন বেশ কিছু পুষ্টি রয়েছে, যার অভাবে আপনার দেহে প্রায়শই দেখা দিতে পারে। সেগুলো কী-কী চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মহিলাদের দেহে আয়রন ঘাটতি খুব সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আয়রনের ঘাটতি রক্তাল্পতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। দেহে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে বিট, গাজর, সবুজ শাকসবজি, তিল ইত্যাদি খেতে পারেন।
ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামান না। কিন্তু এই পুষ্টির অভাবে চুল, নখ ও ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়, মানসিক অবসাদ বাড়ে এবং ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি পূরণ করতে আপনি সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মাশরুম, মাংস ও মেটে খেতে পারেন।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বেশিরভাগ মানুষের শরীরেরই দেখা দেয়। এই ভিটামিনের অভাবে দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে। ভিটামিন ডি-এর প্রধান উত্স সূর্যের আলো। এছাড়াও দই, দুধ, ছানা, সামুদ্রিক মাছ, মাশরুম, ডিম খান রোজ।
দেহে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি থাকলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তির উপর প্রভাব পড়ে। ভিটামিন এ-এর ঘাটতি পূরণ করতে গাজর, মিষ্টি আলু, পেঁপে ইত্যাদি খেতে পারেন।
থাইরয়েডের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে? হতে পারে দেহে আয়োডিনের ঘাটতি রয়েছে। গর্ভাবস্থায় এই পুষ্টি ভীষণ জরুরি। আয়োডিনের চাহিদা পূরণ করতে দুগ্ধজাত খাবার, সামুদ্রিক মাছ ডায়েটে রাখুন।