ভাব বিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম। সালাম দেওয়া সুন্নত কিন্তু সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। কিন্তু অনেকেই সালামের উত্তর দিতে গিয়ে নিরব থাকে। চুপে চুপে নিরবে সালামের উত্তর নেয়। এ রকম করলে কি সালামের ওয়াজিব আদায় হবে? সালামের সুন্দর উত্তর দেওয়া সম্পর্কে ইসলামের বিধানই বা কী?
উচ্চস্বরে, সুন্দরভাবে কোমলকণ্ঠে সালামের উত্তর দেওয়া উত্তম। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি নিরবে চুপে চুপে সালামের উত্তর দেয় তবে সালামের উত্তর দেওয়ার ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে এতে সালামের মূল উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হয় না। কেননা কোরআন-সুন্নায় সালাম বিনিময় উত্তম ও সুন্দরভাবে দেওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্ট।
সালাম হলো দোয়া। সালাম দ্বারা বলা হয়- ‘আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক’। সুতরাং সালামের উত্তরও সুন্দরভাবে সালাম প্রদানকারীকে শুনিয়ে তার জন্য এভাবে দোয়া করা যে, আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক। হাদিসের নির্দেশনা হলো- সম্ভব হলে সালামের উত্তর আরও বেশি বাড়িয়ে দোয়া করা।
দোয়া করা সম্পর্কে কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَإِذَا حُيِّيْتُم بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّواْ بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ حَسِيبًا
’আর যদি কেউ তোমাদের জন্য দোয়া করে (সালাম দেয়), তাহলে তোমরাও তার জন্য দোয়া কর। তার চেয়ে উত্তম দোয়া অথবা তারই মতো ফিরিয়ে বল। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব-নিকাশ গ্রহণকারী।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৮৬)
এ আয়াতের নির্দেশনা অনুযায়ী সালামের উত্তর শুনিয়ে সুন্দরভাবে আরও বাড়িয়ে দেওয়া উত্তম। সম্ভব হলে বেশি দোয়া করা। সম্ভব না হলে যেটুকু সালাম বা দোয়া করা হয় ন্যূনতম ততটুকু উত্তর দেওয়া বা দোয়া করা জরুরি। এতে পরস্পরের আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়। শত্রুতা দূর হয়ে যায়। ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সালাম দেয়ার পর শুনিয়ে বাড়িয়ে উত্তম ভাষায় সালামের উত্তর দেয়ার তাওফিক দান করুন। সালাম উত্তরে যথাযথ হক আদায় করার করুন। কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী সালামের উত্তর ও প্রচলন অব্যাহত রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।