আল্লাহ তাআলা যাকে তাওফিক দান করেন তিনি হজ সম্পাদন করতে পারেন। হজ থেকে ফেরার পর মানুষ হজ পালনকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় হাজির কাছে মানুষের তিনটি চাওয়া-পাওয়ার কথা ওঠে এসেছে হাদিসে। আবার এ সময় হাজি সাহেবের করণীয়ও ওঠে এসেছে হাদিসের বর্ণনায়। তাহলো-
১. হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, যখন তুমি হজ পালনকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে তাকে-
> সালাম দেবে;
> তাঁর সঙ্গে মুসাফাহা করবে এবং
> তাঁর ঘরে প্রবেশের আগেই তাঁকে তোমার গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে বলবে। কেননা তার গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমাদ)
হজ শেষে দেশে ফেরার পর করণীয়
২. রাসুল্লুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো যুদ্ধ বা হজ কিংবা ওমরা থেকে ফিরে আসার সময় যখনই কোনো টিলা বা উচুঁ স্থানে উঠতেন; তখন তিনি তিনবার ❛আল্লাহু আকবার❜ বলে এই দোয়া পাঠ করতেন-
لَا اِلَهَ اِلَّا الله وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لُهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَئ قَدِيْر
‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি এক তাঁর কোনো শরিক নেই, সকল সাম্রাজ্য তাঁরই, সব প্রশংসা তাঁরই, তিনি সব বিষয়ের ওপর শক্তিশালী।’
এছাড়াও আল্লাহর কাছে এভাবে বলা, হে আল্লাহ! আমরা ফিরছি, আমরা তওবাকারী, আমরা ইবাদত পালনকারী, আমাদের প্রেমাষ্পদ আল্লাহর পথে ঘুরি, আমরা আমাদের প্রভুরই প্রশংসাকারী। আল্লাহ তাঁর ওয়াদা সত্যে পরিণত করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন, তাঁর সব বিরুদ্ধবাদী দলকে একাই পরাজিত করেছেন। হে আল্লাহ! আপনিই সর্ব শক্তিমান।
৩. হজ থেকে ফিরে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ গ্রাম বা শহর দেখার সময় এ দোয়া পড়তেন-
أَيِبُوْنَ انْ شَاءِ اللهِ تَائِبُوْنَ عَابِدُوْنَ سَاجِدُوْنَ لِرَبِّنَا حَامِدُوْنَ
‘আয়িবুনা তায়িবুনা আবিদুনা সাজিদুনা লি-রাব্বিনা হামিদুন।’
অর্থ: ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবাকারী, ইবাদতকারী, নিজ রবের প্রশংসাকারী।
৩. হজরত কাব বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোনো সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখন মসজিদে (নফল) নামাজ আদায় করতেন।’ (বুখারি)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী হজ পালনকারী ও দর্শনার্থীর মাঝে উত্তম ভাব বিনিময় করার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।