সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারির কার্যালয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সঙ্গে হট্টগোল, ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের মুখোমুখি বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে আওয়ামীপন্থি সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া আদালতের রায়ের প্রতিবাদে বার ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ফরমায়েশি রায় দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলা, হামলা, গুম, খুন করে চলমান আন্দোলন থামানো যাবে না।
পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আগামী ৬ আগস্ট ৬৪ জেলার বার ভবনে কালো পতাকা মিছিল এবং ৮ আগস্ট ৬৪ জেলা বার ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন চলার সময়ে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা বাইরে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে সংবাদ সম্মেলন শেষে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এক পার্যায়ে হাতাহাতি এবং পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও সম্পাদক আব্দুন নূর দুলালের কক্ষের নেমপ্লেট খুলে ফেলেন বলে অভিযোগ করে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা।
পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত কারাদণ্ডের পাশাপাশি তারেক রহমানকে ৩ কোটি ও জুবাইদা রহমানকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন।