চীনের রাজধানী বেইজিং এর আশেপাশের পাহাড়ে বন্যায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির সিসিটিভি চ্যানেল জানায়, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে ট্রেন স্টেশনগুলো বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিছু লোককে স্কুলের জিমে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাড়িঘর ডুবে গেছে এবং রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে।
বন্যার পানিতে আটকে পড়া একটি ট্রেন স্টেশন থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করতে ৪টি সামরিক হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। ২৬ সেনা সদস্যের একটি দল উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে। সরবরাহ করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ। তবে আরেকটি টাইফুন ‘খানুন’ চীনের পূর্ব উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে।
মৌসুমী বন্যা প্রতি গ্রীষ্মে চীনের বড় অংশে আঘাত হানে, বিশেষ করে আধা-ক্রান্তীয় দক্ষিণে।
তবে দেশটির উত্তরাঞ্চলে চলতি বছর ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার খবর পাওয়া গেছে।
জুলাইয়ের শুরুর দিকে চংকিংয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে বন্যায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছিল এবং সুদূর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশে পাঁচ হাজার ৫৯০ জন লোককে সরিয়ে নিতে হয়েছিল।
হুবেই প্রদেশের মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি-ঝড়ে বাসিন্দারা বাড়িতে আটকে পড়ে।
সাম্প্রতিক ইতিহাসে চীনের সবচেয়ে মারাত্মক এবং সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বন্যা ছিল ১৯৯৮ সালে। ওই সময় চার হাজার ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২১ সালে হেনানের কেন্দ্রীয় প্রদেশে বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়।