কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি নিয়ে মারামারি, দুই জনের মৃত্যু


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 31-07-2023

কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি নিয়ে মারামারি, দুই জনের মৃত্যু

বরিশাল নগরীর কাশিপুরে কম দামে মরিচ বিক্রি নিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত আরও এক সবজি বিক্রেতা আলমগীর (৪০) মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার একদিনপর রোববার (৩০ জুলাই) রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত আলমগীর নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড দিয়াপাড়া দিঘির পাড় এলাকার তিনু মাঝির ছেলে। সে কাশিপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা।

শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে কাশিপুর বাজারে কম দামে মরিচ বিক্রি নিয়ে বিক্রেতা সাবেক সেনা সদস্যর সঙ্গে বাজারের সবজি বিক্রেতাদের দ্বন্দ্ব হয়। এ ঘটনায় সাবেক সেনা সদস্যের ছুরিকাঘাতে ওই দিন সবজি বিক্রেতা কামাল হোসেনের (৩৮) মৃত্যু হয়। 

এছাড়াও এ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আরও ৫ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত আলমগীর হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাগ্নে শহিদুল ইসলাম।

বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো. হেলালউদ্দিন বলেন, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীরের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এর আগের হত্যার ঘটনায় করা মামলায় বিষয়টি সংযুক্ত হবে। নতুন করে আর কোনো মামলা হবে না। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে।

শনিবার রাতে এয়ারপোর্ট থানায় হত্যা মামলা করেন অপর নিহত কামাল হোসেনের স্ত্রী মাহফুজা বেগম। মামলায় ছুরিকাঘাত করা মরিচ বিক্রেতা ও সাবেক সেনা সদস্য সোহেল রানাকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল সোহেল রানা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সিংহেরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সোনামুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ও বরিশাল নগরীর ইছাকাঠি সড়কের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা কাশিপুর বাজারে মুদি ও কাঁচামাল বিক্রেতা। 

প্রসঙ্গত, গত শনিবার কাশিপুর বাজারের সামনে কমদামে সবজি ও কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিল সোহেল রানা। বাজারের ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে মারামারির ও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত কামালসহ চারজন জখম হয়। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর কামালকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আর অপর ব্যক্তি আলমগীরকে গুরুত্বর আহতবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলে রোববার রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীনবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় আহত ছুরিকাঘাতকারী ও সাবেক সেনা সদস্য সোহেল রানা (৫০) পুলিশ প্রহরায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]