স্কুল পড়ুয়া খুনের ঘটনায় রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া সেই ঘটনায় এবার গ্রেফতার হল মৃত পড়ুয়ার সহপাঠী।
ঘটনাটি ঘটেছে জামুড়িয়া থানার ১ নং ওয়ার্ডের বোরিংডাঙ্গা এলাকায়। শনিবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল আনন্দ কেশরী ওরফে বান্টি (১৮)। পরিবার সূত্রে খবর, রাতে কোনও একটা কাজ আছে বলে বাড়ি থেকে বের হয় সে। কিন্তু রাতে আর ফেরে না। আশপাশে খোঁজখবর করেও কোনও লাভ হয়নি। তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
জামুড়িয়ার নন্দী জোড়াপুকুর এলাকার শ্মশান সংলগ্ন মাঠে বান্টির রক্তাক্ত ও ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার সকালে বান্টিকে খুনের অভিযোগের ভিত্তিতেই তার এক সহপাঠীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা পিটিয়ে খুন করা হয়েছে আনন্দকে।
পুলিশি জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত নাবালক। কীভাবে নিজের বন্ধুকে খুন করে তা পুরোটাই জানায়। তবে কেন বান্টিকে খুন করা হয়েছে, এই খুনের ঘটনায় আর কেউ জড়িয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের সকলের কঠিনতম শাস্তির দাবি জানালেন বান্টির বাড়িতে লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্তর বাবার কাছে তার নামে নালিশ করবে বলেছিল বান্টি। তাই তাঁদের ছেলেকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনন্দ কেশরী পড়াশোনা সঙ্গেই ফেরি চালিয়ে সংসার চালাত। ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বান্টির মা। থানার বাইরে দাঁড়িয়ে কেঁদেই চলেছেন তিনি। তাঁর আক্ষেপ, খেতে খেতে ছেলেটা হঠাৎ চলে গেল। এই ঘটনার পরেই জামুড়িয়া থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।