তুতো দাদা বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার দাম নিজের জীবন দিয়ে দিতে হল ২৫ বছরের তরুণীকে। প্রত্যাখ্যানের প্রতিশোধ নিতে বোনের গতিবিধির উপর রীতিমতো নজর রেখে পরিকল্পনা করে তাকে খুন করল দাদা।
কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইরফান। গত শুক্রবার সকালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রী অরবিন্দ কলেজের কাছে একটি পার্কে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তরুণীকে খুন করে ইরফান। তারপর মৃতদেহ এবং লোহার রডটি সেখানেই ফেলে রেখে পালায় সে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।
তবে এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্ত নিজে গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। ইরফান জানিয়েছে, গত তিনদিন ধরেই নার্গিসকে খুনের পরিকল্পনা করছিল সে। নার্গিস কখন কোথায় যান সেই সমস্ত কিছুই সে জানত। তরুণী যে স্টেনোগ্রাফি ক্লাসে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন ওই পার্কের সামনে দিয়ে যান সে কথাও জানত সে।
‘অভিযুক্ত দাবি করেছে, খুনে ব্যবহৃত লোহার রডটি বাড়ি থেকে এনেছিল সে। সোমবারও তরুণীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু কোনও কারণবশত তা হয়ে ওঠেনি,’ জানিয়েছে পুলিশ। তার বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা।