রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন তিনি। এবার প্রিগোশিনের ‘গোপন হারেমের’ খবর প্রকাশ করছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো। দ্য মেইলের।
অনেকেই মনে করেন ওয়াগনার প্রধানের মধ্যে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল। তবে তার বিরুদ্ধে এবারের অভিযোগগুলো কঠোর এবং বিশদ বর্ণনা রয়েছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরে রয়েছে প্রিগোশিনের হারেম। এই গোপন হারেমে উঠতি বয়সী বা সদ্য ১৮ বছর পেরোনো নারীদের রাখেন তিনি।
এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহের আগে সেইন্ট পিটার্সবার্গের সোলো সোকোস হোটেলে কক্ষ ভাড়া করে প্রিগোশিন তার গোপন হারেমের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। তবে এখন হারেমটি কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানা যায়নি।
প্রিগোশিনের হারেমে থাকা এক নারী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অল্পবয়সী নারীদের প্রতি ভাগনারপ্রধানের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। বিশেষত কুমারী নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পছন্দ করেন তিনি। কারণ তিনি মনে করতেন কুমারী নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক তাকে দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করবে।
প্রিগোশিনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো এক নারী জানান, তিনি যখন এই সম্পর্কে জড়ান, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। তিনি কুমারী ছিলেন।
ওই নারীর এমন দাবি মিথ্যে নয় বলে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে স্থানীয় যৌনকর্মীদের ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধি। তাদের কাছেও প্রিগোশিনের যাওয়া–আসা ছিল বলে জানান এবং প্রিগোশিনের কিছু কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন ওই নারী।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ওয়াগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিনের। এ অসন্তোষের প্রকাশ ঘটে গত ২৩ জুন। বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোশিন। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর দিকে অভিযান শুরু করেন তিনি। পথে কয়েকটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ভাগনার। ভাগনারের নিয়ন্ত্রণে যায় গুরুত্বপূর্ণ একটি রুশ সেনাঘাঁটি।