খাদ্যসংকটে ভুগছে বিশ্বের বহু দেশ। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে চিন্তা ক্রমেই বাড়ছে বিভিন্ন মহলে। প্রায় ৬০টি দেশের ৩৪ কোটি মানুষ খাদ্যসংকটে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এজন্য অনেকটা দায়ী। কিন্তু শুধু যুদ্ধ নয়, আবহাওয়ার পরিবর্তনও বড় কারণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
বাড়ছে চাষের ক্ষতি। কমছে ফসলের উত্পাদন। ফলে শস্যের দাম বাড়ছে, বাড়ছে খাবারের দামও। উন্নত দেশগুলিও খাবারের চড়া দামের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। কিন্তু আফ্রিকার দেশগুলিতে সংকট সব চেয়ে বেশি।
২০২২ সাল এবং চলতি বছরে সারা বিশ্ব পুড়েছে তীব্র দাবদাহে। এর ফলে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে চাষবাসে। শস্যের আকাল বিশ্ব জুড়ে। যুদ্ধের জন্য থমকে গিয়েছে রফতানি। আমেরিকা-ইউরোপে প্রবল গরমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবজি। প্রবল গরমে বিঘ্নের মুখে ডেয়ারিশিল্পও। আগামী দিনে নিজের দেশের খাদ্যসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে খাদ্যশস্য় রফতানিতে লাগাম দিচ্ছে অনেক দেশই। তাতে সমস্যা আরও বেড়েছে।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনে ৭৫টি দেশের ২৩৮টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের জমা দেওয়া রিপোর্ট বলছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুদ্রস্ফীতি, সামাজিক বৈষম্য, লিঙ্গ বৈষম্য, সম্পদের অসম বণ্টন, সরকার নীতির ব্যর্থতা, এসবই বিশ্বজুড়ে নিরন্ন মানুষের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। বিশ্ব জুড়ে প্রতি ৪ সেকেন্ডে না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছেন ১ জন করে মানুষ! খাদ্যসংকটে ভুগছেন দুনিয়ার প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি মানুষ। এর মধ্যে ২৬ কোটি মানুষের পরিস্থিতি সঙ্গিন। এ ছাড়া, ৪৫টি দেশের আরও ৫ কোটি মানুষ খাদ্যাভাবে ভুগছেন। আফ্রিকা মহাদেশে দুর্ভিক্ষ সবথেকে সংকটপূর্ণ। সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, নাইজিরিয়া, ইয়েমেনে লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেতে পেয়ে মরছেন।