মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে চারদিনে অন্তত ৫০ সেনা নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি।
মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দিন দিন বেড়েই চলেছে সংঘর্ষের ঘটনা।
ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) থেকে রোববার (২৩ জুলাই) পর্যন্ত দেশটির চীন, কারেন ও সাগাইং প্রদেশে জান্তা বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস 'পিডিএফ'এর সদস্যরা। এসব হামলায় ৫০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন।
এছাড়া দুপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন বিদ্রোহীগোষ্ঠীর সদস্য নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারেন প্রদেশে জান্তা বাহিনীর কয়েকটি সেনা ঘাঁটি দখলে নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী 'পিডিএফ'। সেনাদের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করার কথাও জানিয়েছে পিডিএফ। কারেন ছাড়াও চীন ও সাগাইং প্রদেশেও জান্তা সেনার কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় বিদ্রোহীগোষ্ঠীটি।
এদিকে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে অভিযান জোরদার করেছে জান্তা বাহিনী। গণমাধ্যম জানিয়েছে, গেল দুই সপ্তাহে অন্তত ২০টি গ্রামে অভিযান চালায় সেনারা। এসময় স্থানীয়দের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। এছাড়া অভিযানের সময় জান্তা বাহিনী ২ শতাধিক বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।
২০২১ সালে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচিকে হটিয়ে সামরিকবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বেসামরিক নাগরিক ও বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন বেড়ে যায়। প্রায় প্রতিদিনই জান্তাবাহিনীর সঙ্গে পিডিএফ, কেএনডিএফসহ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে নিহত হচ্ছেন অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক। যদিও জান্তা বাহিনীর দাবি, সন্ত্রাস নির্মূলে এসব অভিযান চালানো হয়।