এবার আরও ভয়াবহ দিকে মোড় নিল রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। এবার ইউক্রেনের উপর ভ্যাকিউম এবং ক্লাস্টার বোমার মতন মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করতে শুরু হল রাশিয়া। এদিন ইউক্রেনের খারকিভ শহরে এই ভয়াবহ ভ্যাকিউম বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় রাশিয়া। মূলত কোনও এলাকাকে একেবারে শত্রুশূন্য করে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হয় ভ্যাকিউম বোমা।
যে অঞ্চলে এটি ফেলা হয় সেখান থেকে সমস্ত অক্সিজেন শুষে নেয় এই বোমা। ফলে সম্পূর্ণ অক্সিজেন শূন্য হয়ে যায় একটি বিস্তৃত এলাকা। এছাড়াও এই বিস্ফোরণে উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যায় একটা সময়ে যে বাষ্পীভূত হয়ে যেতে পারে সম্পুর্ণ মানব দেহও। অপারমাণবিক অস্ত্রের মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক এবং মারাত্মক অস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হয় এই বোমাকে।
একটি সামরিক সূত্রে খবর, এই বোমা মূলত শত্রু সেনাদের উপর ব্যবহার করা হয়। অসামরিক নাগরিকদের উপর এর ব্যবহার 'যুদ্ধাপরাধ' হিসেবে বিবেচিত হবে। সাধারণ মানুষের বসতি এলাকায় এই বোমা বিস্ফোরণ বিশ্ব মানবাধিকার আইনে নিষিদ্ধ। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওকসানা মার্কোভা বলেন, পুতিন এদিন ইউক্রেনে ভ্যাকিউম বোমা ব্যবহার করেছেন, যার ব্যবহার জেনেভা চুক্তিতে নিষিদ্ধ।
অন্যদিকে একটি ভিডিওতে দেখা যায় দাউদাউ করে পুড়ছে খারকিভের বাড়িঘর এবং একটি স্কুল। এই ভিডিওর প্রেক্ষিতে একটি সামরিক সূত্র দাবি করে যে ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। ভ্যাকিউম বোমার মতই পৃথিবীর অন্যতম সবচেয়ে মারাত্মক অস্ত্র এই ক্লাস্টার বোমা। আন্তর্জাতিক আইনে এই বোমাও নিষিদ্ধ বলেই জানা যাচ্ছে।
এখনও অবধি খারকিভে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এমনকি সেদেশের পারমাণবিক বর্জ্যের উপরেও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করছে রাশিয়ান বাহিনী যার ফলে গোটা দেশে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বেড়ে যাওয়ার ভয়াবহ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখনও অবধি খারকিভে বোমা, রকেট এবং মর্টার হামলার মৃত্যু হয়েছে ৩ শিশুসহ অন্তত ১১ জনের। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তা চলতে থাকলে যে অচিরেই শ্মশানপুরীতে পরিনত হবে রাশিয়া, তা বলাই বাহুল্য।
রাজশাহীর সময় /এএইচ