বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিবেদন মতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২৬৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু লিখিতভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করেন।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১০৬ জন কন্যাশিশু এবং ১৫৯ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়।
এ সময় মোট ৮৮ জন ধর্ষণের শিকার হয়। তার মধ্যে ৪৬ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় তিন কন্যাশিশুসহ ১২ জন।
এ সময় এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ছাড়াও ছয় কন্যাশিশুসহ আট জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। গত মাসে এক কন্যাশিশুসহ চার জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। এক কন্যাশিশুসহ তিন জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। এ সময় অ্যাসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে এক জন। পাঁচ কন্যাশিশুসহ মোট আট জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়। তার মধ্যে এক কন্যাশিশু ও এক নারী উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। এ সময় অপহরণের শিকার হয় মোট ১৩ জন। এদের মধ্যে ১০ জন কন্যাশিশু। এ সময় দুই জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয় মোট ২১ জন। তার মধ্যে সাত জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়। শারীরিক নিযার্তনের শিকার হয় এক কন্যাশিশুসহ মোট ১২ জন।
এক মাসে বিভিন্ন কারণে ১০ জন কন্যাশিশুসহ ২৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় ১২ কন্যাশিশুসহ ৩৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ছয় কন্যাশিশুসহ ১৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও তিন জন আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এক কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয় পাঁচ জন। একই সময় বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে তিনটি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় গত আড়াই বছরে পাচারকারী চক্র কিশোরী ও তরুণীদের ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে ৮০ জনকে পাচার করেছে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ