আটলান্টিক সাগরে অনাহারে মরছে হাজার হাজার পেঙ্গুইনরা!


রিয়াজ উদ্দিন: , আপডেট করা হয়েছে : 22-07-2023

আটলান্টিক সাগরে অনাহারে মরছে হাজার হাজার পেঙ্গুইনরা!

পাকস্থলীতে ছিটেফোঁটা খাবার নেই। শরীর দুর্বল। পেঙ্গুইনদের মৃতদেহ পরীক্ষা করে চমকে উঠেছেন গবেষকরা। গত দশ দিনে আটলান্টিক সাগরের দৃশ্য়টা ভয়ঙ্কর। হাজারে হাজারে পেঙ্গুইনের দেহ ভেসে আসছে উরুগুয়ের পূর্ব উপকূলে। বেশিরভাগই তরুণ পেঙ্গুইন। শাবকও আছে। অনাহারে আর দুর্বলতার কারণেই পেঙ্গুইনের মৃত্যু হচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান প্রাণীবিদদের।

অনেক সময় অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে এভাবে পেঙ্গুইনদের মৃত্যু হয়ে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে সেটা কারণ নয় বলেই জানা যাচ্ছে। আটলান্টিক সাগরে ভাসতে ভাসতে দেহগুলি পৌঁছেছে উরুগুয়ের উপকূলে। উরুগুয়ের পরিবেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক কারমেন লেজাগোয়েন জানিয়েছেন, বেশিরভাগ পেঙ্গুইনের শরীরেই কোনও খাবার পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ পরীক্ষা করে বোঝা গেছে, তাদের কোনও অসুখের কারণে মৃত্যু হয়নি। মৃত্যুর কারণ অনাহার। দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে, ধুঁকতে ধুঁকতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার পেঙ্গুইনের। সংখ্যাটা এখনও ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ম্যাগেলানিক প্রজাতির পেঙ্গুইনদেরই (Penguins) মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে ৯০ শতাংশই কমবয়সি ও শিশু। ম্যাগেলানিকদের বাস দক্ষিণ আর্জেন্টিনায়। প্রতি বছর খাবার ও উষ্ণ আবহাওয়ার খোঁজে তারা ব্রাজিলের উপকূলে আসে।  এক বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, এভাবে কিছু পেঙ্গুইনের মৃত্যু হয়ে থাকে ঠিকই, তবে এত বেশি সংখ্যায় হওয়াটা স্বাভাবিক নয় (Penguins) ।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, আর কয়েক বছরের মধ্যে জলবায়ু বদলের প্রভাব করোনা মহামারীর থেকেও প্রাণঘাতী হবে। বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে, বিষাক্ত গ্যাসে ছেয়ে যাচ্ছে পরিবেশ তার থেকেই অনুমান করা যায় ২১০০ সালের মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন পাঁচ গুণ বেশি বিপর্যয় নিয়ে আসবে পৃথিবীতে। আন্টার্কটিকায় বরফ গলতে শুরু করেছে। পশ্চিম আন্টার্কটিকায় উপকূল বরাবর দুই বিশাল হিমবাহে ভাঙন ধরেছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি) রিপোর্ট দিয়েছে, পৃথিবীর তাপমাত্রা আরও ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বাড়তে পারে। তাপমাত্রার বদল হলে এর জের পড়বে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রেও। জলের উষ্ণতা স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়লে সামুদ্রিক প্রাণীজগত ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বেশ কিছু প্রজাতির মাছের আকার ছোট হতে থাকবে। অস্তিত্বও লোপ পাবে অনেক প্রজাতির। জলবায়ু পরিবর্তন এবং দূষণের কারণে জলের অক্সিজেনও কমছে। যে কারণেও বিপন্ন সামুদ্রিক প্রাণীরা।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]