বিশ্বের অনেক দেশেই সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, নেপাল এমনকি অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায়ও কমেছে। তবে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে বাংলাদেশে। এখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি না কমে উল্টো বেড়েছে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চিত্র।
বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে হু হু করে বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করে বিভিন্ন দেশ। এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধের পর কমতে শুরু করে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার।
সম্প্রতি ২০২২ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বৈশ্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানে গেল বছর আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফিতির হার ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ থাকলেও এ বছর জুনে তা বেড়ে ৩৯ দশমিক পাঁচ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি বছরের জুনে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল। তবে, পরে তা ৮ শতাংশে নেমে এলেও সম্প্রতি আবার ৯ শতাংশের ঘরে উঠেছে।
এছাড়াও মিশর, পাকিস্তান, জাপান, ভিয়েতনাম, আর্জেন্টিনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। তবে ভারতে কমেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি।
দেশটিতে গেল সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির হার ছিলো ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। এরপর থেকে কমে চলতি বছরের মে মাসে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ভুটানেও কমতে শুরু করেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার। গত বছরের জুলাইয়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে উঠেছিল। গত মার্চে তা কমে দশমিক ৮ শতাংশে নামে।
এছাড়া তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে চলা শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে সর্বোচ্চ ৮৫ দশমিক ৮ শতাংশে উঠলেও জুনে তা কমে ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, মালদ্বীপে এ হার কমেছে।