ফিদা সিনন (২৭)। পেশায় সমাজমাধ্যমের প্রভাবী। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে হলে ‘টিকটকার’। সমাজমাধ্যম টিকটক-এ ভিডিয়ো তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন ফিদা।।
ফিদা বেশি পরিচিত ‘পিঙ্কিডল’ নামে। সমাজমাধ্যমে এই নামেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর।
ফিদার জন্ম কানাডার মন্ট্রিলে। কী ভাবে অল্প বয়সে টাকা উপার্জন করতে হয়, সেই মন্ত্র ইতিমধ্যেই আয়ত্তে এনেছেন তিনি।
বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে ‘ক্রস-প্রমোশন’ করে উপার্জন করেন ফিদা। ‘ক্রস-প্রমোশন’ হল বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে অনামি ব্র্যান্ডের পণ্যের প্রচার করা। এই প্রচারের কারণে বিভিন্ন পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি পায়। ব্র্যান্ড পরিচিতি গড়তেও সাহায্য করে ‘ক্রস-প্রমোশন’।
ফিদা যে পথে হেঁটে সমাজমাধ্যমে খ্যাতি পেয়েছেন, তা অনেকের কাছেই বেশ অদ্ভুত। তবে লক্ষ লক্ষ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে অসুবিধা হয়নি তাঁর।
ফিদার উত্থানকাহিনির নেপথ্যে রয়েছে তাঁর লাইভ ভিডিয়ো। যেখানে ভিডিয়ো গেমের চরিত্র নকল করে অভিনয় করেন তিনি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস ভারতে! পেন্টাগনকে ছাপিয়ে কোন শহরের মাথায় নতুন মুকুট?
লাইভ ভিডিয়োতে ভিডিয়ো গেমের চরিত্রদের আদলে কথা বলে দর্শকদের মনোরঞ্জন করেন ফিদা।
তার মধ্যে ফিদা যে কথা বার বার বলার জন্য খ্যাতি পেয়েছেন তা হল, ‘‘আইসক্রিম ইজ় সো গুড (আইসক্রিমটা খেতে খুবই ভাল)’’। কিন্তু তিনি যে ভাবে ভিডিয়ো গেমের চরিত্রের আদলে এই কথা বলেন, তা দর্শকদের মন কেড়েছে।
ফিদার ভিডিয়োগুলি আগে থেকে রেকর্ড করা থাকে না। তিনি যা করেন লাইভ ভিডিয়োতে করেন। ফলে দর্শকদের কাছে তাঁর কথা বলার ধরন আরও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ফিদার ভিডিয়োগুলিতে হাজার হাজার অনুরাগী নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানান। আর এই প্রতিক্রিয়া থেকেই তিনি অর্থ উপার্জন করেন।
তিনি যত বেশি প্রতিক্রিয়া পাবেন, তত বেশি উপার্জন করবেন। আপাতদৃষ্টিতে প্রতিক্রিয়াগুলি তুচ্ছ বলে মনে হলেও তা নয়। এই প্রতিক্রিয়ার মধ্যে থাকে বিভিন্ন পশু, প্রাণী, ইমোজির স্টিকার।
এই স্টিকারগুলি ‘ডিজিটাল টোকেন’ হিসাবে গণ্য হয়। এই ‘ডিজিটাল টোকেন’-এর পরিবর্তে মোটা টাকা আয় করেন ফিদা।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক দিনে লাইভ ভিডিয়ো থেকে প্রায় সাত হাজার ডলার অর্থাৎ, প্রায় ছ’লক্ষ টাকা আয় করেন ফিদা।
ফিদার আয়ের পরিমাণ প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর অনেক অনুরাগী হতবাক হয়ে গিয়েছেন।
টিকটকে ফিদার অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় ছ’লক্ষ। বর্তমানে পিঙ্কিডলের খ্যাতি টিকটক ছাড়িয়ে আরও অন্যান্য সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফিদার লাইভ ভিডিয়োগুলি টুইটারে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ সেই ভিডিয়োগুলি দেখেছেন।