আমেরিকান সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার পর থেকেই অল্প অল্প করে পাকিস্তানি সেনার ওপর আক্রমণ বাড়িয়েছিল আফগানিস্তান। গত দেড় মাসে এই আক্রমণের সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় আফগান তালিবানের হাতে প্রাণ হারাচ্ছে পাকিস্তানি সেনা। তালিবানের গেরিলা যুদ্ধে উত্তর দিতে পারছে না তারা। এবার পাকিস্তান পাল্টা আঘাত হানার কথা ভাবছে। মুখে কিছু না বললেও বিমান বাহিনী বোম ফেলতে পারে তালিবানের ওপর।
আফগানিস্তানে আশ্রয় গ্রহণকারী ও সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে এসে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কাবুলকে সতর্ক করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান বলেছে, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ না করলে ইসলামাবাদ ‘কার্যকর ব্যবস্থা’ গ্রহণ করবে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তেহরিকই তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপির জন্য আফগানিস্তানের তালেবান সরকার দেশটিতে অভয়াশ্রম গড়ে দিয়েছে।
অতীতে আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে চালানো সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে টিটিপি। একই এলাকায় আইএসের পাশাপাশি ‘তেহরিকে জিহাদ পাকিস্তান’ নামে নবগঠিত একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৎপর রয়েছে। চলতি সপ্তাহে পাকিস্তান সেনবাহিনীর ওপর একটি শক্তিশালী হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিকে জিহাদ, যাতে অন্তত নয় সৈন্য নিহত হন।
পাক সেনাপ্রধান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এ ধরনের হামলা সহ্য করা হবে না বরং পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এর বিরুদ্ধে কঠোর কার্যকর জবাব দেবে। জেনারেল মুনির অভিযোগ করেন, আফগানিস্তানের ভূমি বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে যে প্রতিশ্রুতি তালেবান সরকার দিয়েছিল তা কাবুল রক্ষা করছে না। কিছু জায়গায় পাকিস্তানি সেনাদের হাত বেঁধে গুলি করে মেরেছে তালিবান যোদ্ধারা। তাই পাকিস্তানি সেনার উত্তর দেওয়া ছাড়া এখন জায়গা নেই।