বর্ষা শুরু হলেও সূর্যের তাপ কিন্তু বিন্দুমাত্রও কমেনি। মাঝে মাঝে বৃষ্টির দেখা পাওয়া গেলেও রোদের তাপ একই রকম রয়েছে। এইরকম পরিস্থিতিতে পুষ্টিবিদরা প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কারণ ,এরকম গরমে শরীর অবশ্যই ঠান্ডা রাখা প্রয়োজন। এই কারণে গরমের সময় খেতে হবে নানান রকম পানীয় কিন্তু, ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে মিষ্টি পানিও খাওয়া ঠিক নয়।
এছাড়া বাজারে পাওয়া নানান রকম পানি হতে থাকে রাসায়নিক পদার্থ এবং চিনি যেটা শরীরের পক্ষে একদমই ভালো নয়। এই তাপদাহ থেকে বাঁচার জন্য ডায়াবেটিক রোগীরা কোন কোন পানিও খেতে পারবেন সে ব্যাপারে আলোচনা করা হলো এই প্রতিবেদনে।
গরমের দিনে ডাবের জল খেলে শরীরে ডিহাইড্রেশন কম হয় এবং পেট ঠান্ডা ও থাকে। ডাবের জলে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম যেগুলি শরীরে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া তুলসীর বীজে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। যা রক্তের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই কারণেই যাদের ডায়াবেটিস তারা তুলসীর বীজ ভেজানো ডাবের জল খেলে উপকার পাবেন।
রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেল অত্যন্ত কার্যকরী। বেলে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা বেলের শরবতের সঙ্গে ভাজা জিরে এবং চাট মসলা মিশিয়ে খেতে পারেন।
ডায়াবেটিক পেশেন্ট এর ক্ষেত্রে দইয়ের ঘোল অত্যন্ত উপকারী। বাড়িতে দইয়ের ঘোল বানিয়ে তাতে নুন এবং ভাজা মশলা, ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে সেটা খেলে খুব ভালো শরীরের পক্ষে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং শরীরে জলের ঘাটতিও পূরণ করে।
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের কাছে লেবু আদার শরবত অত্যন্ত কার্যকারী। যে সমস্ত ডায়াবেটিস পেশেন্টদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে ক্ষেত্রে আদা অত্যন্ত কার্যকারী। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের আস্তে আস্তে দৃষ্টি শক্তি কমতে থাকে, কিন্তু আদা খেলে সেই সমস্যা আর হয় না। দিনের বেলা লেবু এবং আর আদার শরবত খেলে শরীর থাকবে সুস্থ।