সভাশেষে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি জানান, ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৬ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জিটুজি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এই চাল ও গম কেনা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে খাদ্য অধিদফতরের মাধ্যমে রফতানিকারক দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৩ লাখ টন চাল কেনা হবে। আর বাকি ২ লাখ মেট্রিক টন চাল আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আমদানির লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সাঈদ মাহবুব খান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রফতানিকারক দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৪ লাখ ৫০ হাজার টন গম কেনা হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার টন গম আমদানির লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুইটি প্রস্তাবের পাশাপাশি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব।
এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন 'আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দ করা গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সেবা ক্রয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এছাড়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে পেট্রোবাংলার দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় মালয়েশিয়ার পিরিন্টিস আকাল এসডিএন বিএইচডি’র কাছ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।