জুন মাসে পটনায় ১৭টি বিরোধী দল একত্রিত হয়েছিল। বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার লক্ষ্যে প্রথম ধাপ নিয়েছিল দলগুলি। দ্বিতীয় ধাপে বেঙ্গালুরুতে বাড়ল দলের সংখ্যা। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর বিরোধী বৈঠকে ২৪টি দলকে ডাক দেওয়া হয়েছে। পটনার বৈঠকে দিল্লি অধ্যাদেশ নিয়ে আম আদমি পার্টির সঙ্গে বিরোধ হয়েছিল কংগ্রেসের। তা সত্ত্বেও বেঙ্গালুরুতে ডাকা হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোটে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে কংগ্রেস, বাম ও তৃণমূল। গোটা দেশে বাংলার ভূবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এই ভোটে। তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ডাক পেয়েছেন এই বৈঠকে। এদিকে আগের বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বেঙ্গালুরুর বৈঠকে আবার সোনিয়া গান্ধীও অংশ নিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আমন্ত্রিত বিরোধী নেতাদের জন্য বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করা হবে।
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, পটনার বৈঠকে যোগ দেওয়া ১৭টি দলের পাশাপাশি এই বৈঠকে নতুন ৭টি দল ডাক পাচ্ছে। সেই দলগুলি হল - মারুমালারচি দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজগাম (এমডিএমকে), কঙ্গু দেশা মক্কাল কাচ্চি (কেডিএমকে), বিদুথালাই চিরুথাইগাল কাচি (ভিসিকে), বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দল (আরএসপি), অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল), কেরল কংগ্রেস (জোসেফ), এবং কেরল কংগ্রেস (মণি)। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেডিএমকে এবং এমডিএমকে বিজেপির জোটসঙ্গী ছিল। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস, লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি, শরদ পাওয়ারের এনসিপি, নীতীশ কুমারের জেডিইউ, উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের শিবসেনার নেতারা ছিলেন আগের বৈঠকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও ছিলেন সেই বৈঠকে। তবে বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হননি কেজরিওয়াল।
এদিকে বিরোধী দলগুলির প্রথম ও দ্বিতীয় বৈঠকের মধ্যকার এই এক মাসে রাজনৈতিকভাবে অনেক কিছু ঘটেছে দেশে। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ারের মধ্যে বিভক্ত হয়েছে। উভয়ই নিজেদেরকে 'আসল' এনসিপি বলে দাবি করেছে। এরই মাঝে শরদ পাওয়ার বিরোধীদের একত্রিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এদিকে অজিত পাওয়ার শিবিরের নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল প্রথম বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বিরোধীদের সেই সভাকে উপহাস করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, সমস্ত দলের আলাদা আলাদা লক্ষ্য ছিল যা রীতিমতো হাস্যকর। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল বড় জয় পেয়েছে। তবে তৃণূলের বহু কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে বাম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় 'প্রতিরোধের' নামে হিংসা হয়েছে শাসকদল ও বাম-কংগ্রেসের।