শহুরে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ৩০ কোটি ডলারের নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মূলত করোনাসময়ে শহুরে নিম্নবিত্ত মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্যই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের অনুমোদনকৃত অর্থের পরিমাণ দেশীয় বাজারে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সরকারের লোকাল গভর্নমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রকল্পে এ অর্থ দেওয়া হবে।
বিশ্বব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবেন দেশের শহরগুলোর ৪ কোটি নাগরিক। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ১০টি সিটি করপোরেশন ও ৩২৯টি পৌরসভা প্রতিবছর দুবার তহবিল পাবে। সেই তহবিল দিয়ে হাত ধোয়া থেকে শুরু করে টিকা প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এতে পৌর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়ছে।
এ ছাড়া শর্ত হচ্ছে, এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যদি কোনো পূর্ত কাজ করে, তাহলে ওই শহরের দরিদ্র বেকার শ্রমিকদের নিয়োগ করতে হবে। এমনকি অর্ধেক শ্রমিক নারী হতে হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৫ লাখ দিনের কাজ এবং কমপক্ষে ১০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ২০২৬ সালে এ প্রকল্প শেষ হবে।
এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের এ দেশীয় প্রধান মার্সি টেম্বন বলেন, 'কোভিডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরের গরিব মানুষ। তাদের আয় কমেছে, আবার বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এ প্রকল্প তাদের আয় পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।’
করোনা মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা করেছে। মূলত কোভিড জরুরি সহায়তা প্রকল্প, কর্মসংস্থান প্রকল্প, পানি ও পয়ঃব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প, বেসরকারি খাত উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক ছাড়াও করোনা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকসহ (এআইআইবি) বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশ অর্থ দিয়েছে।
রাজশাহীর সময় / এম আর