গত ২৪ ঘণ্টায় কম্পন হয়েছে ২২০০ বার । তিন দিনে ৪৭০০ বার। ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়েই চলেছে আইসল্যান্ডে। এতে রাজধানী রেকজ়াভিক এবং তার আশপাশ এলাকায় কম্পন হয়েই চলেছে।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া দফতর (আইএমও) জানিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ফাগরাডাল্সফিয়ল পর্বতের নীচে। এই পর্বতটি আগ্নেয়গিরির উপর রয়েছে। গত দু’বছরে আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে রেকজেনেস উপদ্বীপে দুবার অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে। বারবার কম্পনে বড়সড় অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ কম্পনের মাত্রাই ছিল রিখটার স্কেলে ৪ এর কাছাকাছি। অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার আগে এটি একটি বড় সঙ্কেত। এবং সেটি খুব শীঘ্রই হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইএমও সূত্রে খবর, বেশির ভাগই মৃদু কম্পন হয়েছে। তবে তার মধ্যে সাতটি মাঝারি ধরনের কম্পন হয়েছে।
ঘন ঘন কম্পনের ফলে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২০১০ সালের এপ্রিলে মাউন্ট ফাগ্রাডালসফজালের অগ্ন্যুৎপাতের জন্য প্রায় ১ লক্ষ উড়ান বাতিল করতে হয়েছিল। ১ কোটিরও বেশি যাত্রী আটকা পড়েছিলেন। গত দু’বছরই মাউন্ট ফাগ্রাডালসফজাল থেকে লাভা উদ্গিরণ হতে দেখা গিয়েছিল। ঘন ঘন কম্পনের ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি এই আগ্নেয়গিরি থেকে বড় মাপের লাভার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।ইউরোপের সবথেকে বড় এবং সক্রিয় আগ্নেয়গিরি অঞ্চল হল আইসল্যান্ড। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের অবস্থিত এই দ্বীপরাষ্ট্রটি ইউরেশিয় প্লেট এবং উত্তর আমেরিকান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। মনে করা হচ্ছে অগ্ন্যুৎপাতের লক্ষণ হতে পারে এই ক্রমান্বয়ে কম্পন। আসলে আইসল্যান্ডের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যা, তাতে ঘনঘন কম্পন হয়। কিন্তু এত অল্প সময়ে এতবার কম্পন আগে হয়নি। তাহলে কি বড়সড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটতে চলেছে আইসল্যান্ডে? আশঙ্কা বাড়ছে।