যেসব কারণে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ


ধর্ম ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 07-07-2023

যেসব কারণে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ

মুসলিম উম্মাহর কাছে জুমার দিন অনেক মর্যাদাবান। আল্লাহ তাআলা দুনিয়ায় অনেক স্থান ও সময়কে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। এর মধ্যে জুমার দিনও একটি। কোরআনন ও হাদিসে জুমার দিনের কিছু বিশেষ মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে। সেগুলো কী?

জুমার দিন শ্রেষ্ঠ

হাদিসের বর্ণনায়, ‘নিঃসন্দেহে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম। আল্লাহ তাআলার কাছে দিনটি ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও উত্তম।’ (ইবনে মাজাহ)

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, ‘যে সব দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়; তন্মধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমার দিন। এ দিনেই আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এ দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে।’ (মুসলিম)

গুনাহ মাফের দিন

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘এক জুমা থেকে অপর জুমা’ এতদুভয়ের মাঝে (গুনাহের জন্য) কাফ্‌ফারা হয়ে যায়, যদি কবিরা (বড়) গুনাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়ে থাকে।’ (মুসলিম)

বছরজুড়ে নামাজ ও রোজার সওয়াবে দিন জুমা

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করে আগে আগে মসজিদে আসবে এবং ইমামের কাছাকাছি হবে এবং মনোযোগ দিয়ে (খুতবা) শুনবে ও চুপ থাকবে তার জুমার নামাজে আসার প্রত্যেক কদমে এক বছরের নামাজ ও রোজা পালনের সওয়াব হবে।’ (তিরমিজি, নাসাঈ)

দোয়া কবুলের দিন

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে যে সময়ে কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে কোনো ভালো জিনিসের প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন। তিনি বলেন, তা সামান্য সময় মাত্র।’ (বুখারি ও মুসলিম); কেউ কেউ বলেন, এটি আসরের নামাজের পরের সময়।

মুসালম উম্মাহর জন্য বিশেষ দিন

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘জুমা’ থেকে আল্লাহ আমাদের পূর্ববর্তী উম্মতকে বিভ্রান্ত করে রেখেছিলেন। ফলে ইহুদিদের জন্য ছিল রোববার। এরপর আল্লাহ আমাদেরকে নিয়ে এসেছেন এবং আমাদেরকে জুমার দিনের জন্য পথ দেখিয়েছেন এরপর শনি তারপর রোববার। এমনিভাবে কেয়ামতের দিনও তারা আমাদের পরে হবে। দুনিয়ার অধিবাসীদের মধ্যে আমরা সবার পরে এবং কেয়ামতের দিন আমাদের ফয়সালা হবে সাবার আগে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

কেয়ামত হওয়ার দিন জুমা

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমার দিনেই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে।’ (মুসলিম)

জুমা ফেতনা থেকে মুক্তির দিন

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম যদি জুমার দিনে অথবা জুমার রাত্রিতে মৃত্যুবরণ করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন।’ (তিরমিজি)

সুতরাং জুমার নামাজ মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদাত। আর জুমার দিনের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। সুতরাং জুমার নামাজ এবং এ দিনের আমল বর্জন থেকে বিরত থাকা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ দিনের নামাজ ও আমল যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]