২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে বিশ্বের ৫০০ ধনী ব্যক্তির নিট সম্পদ বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সম্পদে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ৮৫২ বিলিয়ন ডলার।
ব্লুমবার্গের সংকলিত তথ্য অনুযায়ী, ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের প্রতিটি সদস্য গত ছয় মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। ২০২০ সালের শেষার্ধের পরে ২০২৩ সালের প্রথমার্ধই ছিল বিলিয়নিয়ারদের জন্য সেরা অর্ধবছর।
বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ এবং আঞ্চলিক ব্যাংকগুলোর সংকটের প্রভাবকে অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীরা। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের উত্থানের সঙ্গে ধনীদের সম্পদ বেড়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কারণে গত ৩০ জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ১৬ শতাংশ এবং নাসডাক ১০০ সূচক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে।
এ বছর ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৯৬.৬ বিলিয়ন ডলার। মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেডের সিইও মার্ক জাকারবার্গের ৫৮.৯ বিলিয়ন ডলার সম্পদ বেড়েছে।
এদিকে অনেক ধনীর সম্পদমূল্য অবশ্য কমেছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন বলছে, শীর্ষ ধনিদের মধ্যে গত ছয় মাসে গৌতম আদানির সম্পদের মূল্য সবচেয়ে বেশি কমেছে। তার সম্পদ কমেছে ৬০.২ বিলিয়ন ডলার।
গত ২৭ জানুয়ারি একদিনেই আদানির ক্ষতি হয় ২০.৮ বিলিয়ন ডলার। হিনডেনবার্গ রিসার্চের এক প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক–জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর এমন ঘটনা ঘটে।
হিন্ডেনবার্গের রিসার্চের এক প্রতিবেদনের ফলে আরও একজন বিলিয়নিয়ার কার্ল আইকানের নিট সম্পদ অনেকটা কমেছে। জালিয়াতির মাধ্যমে স্টকের অতিমূল্যায়নের অভিযোগে হিন্ডেনবার্গ শেয়ার কমানোর ঘোষণা দিলে এই বিলিয়নিয়ারের সম্পদ একদিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমে যায়। বছরের প্রথমার্ধে আইকানের সম্পদমূল্য ১৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৫৭ শতাংশ কমেছে।