কুমিরকে বিয়ে করেছেন মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের সান পেড্রো হুয়ামেলুলা শহরের মেয়র। মেয়রের নাম ভিক্টর হুগো সোসা। তিনি অ্যালিসিয়া অ্যাড্রিয়ানা নামের মেয়ে কুমিরকে বিয়ে করেছেন।
রোববার (২ জুলাই) বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নগরবাসীর সৌভাগ্য ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য ঐতিহ্যবাহী আচার-আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে কুমিরটিকে বিয়ে করেছন মেয়র সোসা।
বিয়ে উপলক্ষে কুমিরটিকে ‘নববধূর’ সাজে সাজানো হয়। বিয়ের আগে কুমিরটিকে ঘরে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। যেন নগরবাসী কুমিরটিকে দুই বাহুতে নিয়ে নাচতে পারে। তবে বিয়ের আগে দুর্ঘটনা এড়াতে কুমিরটির মুখ বেঁধে রাখা হয়। পরে তাকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য শহর মিলনায়তনে নেয়া হয়।
আচার-আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে স্থানীয় এক জেলে জাল ছুড়ে মারেন। তিনি সুর করে প্রার্থনা করেন। প্রার্থনায় বলা হয়, এ বিয়ের ফলে যেন ভালো সংখ্যক মাছ ধরা পড়ে। যার মধ্যদিয়ে শহরে সমৃদ্ধি, ভারসাম্য ও শান্তি আসে।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সময় মেয়র সোসা বলেন, তিনি কনের (কুমির) দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। তারা পরস্পরকে ভালোবাসেন। ভালোবাসাটা গুরুত্বপূর্ণ। ভালোবাসা ছাড়া বিয়ে করা যায় না। তিনি রাজকুমারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
বিয়ের পর মেয়র নববধূকে নিয়ে ঐতিহ্যবাহী সংগীতের সুরে নাচ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খুশি। কারণ, আমরা দুটি সংস্কৃতির মিলন উদ্যাপন করি। মানুষ সন্তুষ্ট।’ নাচ শেষে কুমিরটিকে চুম্বন করেন মেয়র।
প্রায় ২৩০ বছর আগে এরকম একটি বিয়ের মাধ্যমে এলাকাটিতে দুটি আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি এসেছিল। একটি আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম চোন্টাল, অপরটি হুয়াভ। সেই ঘটনাকে স্মরণ করে এত বছর ধরে একজন পুরুষ মানুষের সঙ্গে একটি নারী কুমিরের বিয়ে হয়ে আসছে।