কালের নিয়মে বয়স বাড়ে। কিন্তু বয়সের ছাপ যেন অন্যের চোখে ধরা না পড়ে, সেই সুপ্ত বাসনা সকলের মনেই থাকে। আবার অনেকেরই বাসনা থাকে সুস্থ, নীরোগ জীবনের। ওষুধনির্ভর জীবন পছন্দ করেন না অনেকেই। কিন্তু কোন জাদুবলে এমন জীবন লাভ করা সম্ভব? পুষ্টিবিদ এবং প্রভাবী করিশ্মা শাহ তাঁর ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি সে বিষয়ের উপর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। তাঁর মতে, বয়স ধরে রাখার সঙ্গে শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার যোগ রয়েছে। ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপমুক্ত থাকার অভ্যাস করতে পারলে তার প্রভাব পড়ে শরীর এবং মনের উপর। ফলে ত্বকের বয়স ধরে রাখা বেশ খানিকটা সহজ হয়।
বয়স ধরে রাখতে এবং জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত রোগগুলি বশে রাখতে গেলে কী কী করতে হবে?
১) নিয়মিত শরীরচর্চা: হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে গেলে শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকা অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো সম্ভব না হলে বাড়িতেই সাধারণ কিছু যোগাসন, ধ্যান, হাঁটার মতো ব্যায়াম করা যেতেই পারে।
২) পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খাওয়া, বেশি করে ফল এবং শাক-সব্জি খাওয়ার দিকে জোর দিতে হবে। সঙ্গে বাইরের ভাজাভুজি, অতিরিক্ত শর্করা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে।
৩) পর্যাপ্ত ঘুম: রাতে অন্তত পক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনো জরুরি। সারা দিন কাজের পর ঘুম না আসতেই পারে। তবে কাজ থেকে ফেরার পর বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে আনার অভ্যাস করতে হবে। ঘুমের আবহ তৈরি করতে ঢিমে লয়ের, হালকা কোনও গান চালিয়ে রাখতে পারেন।
৪) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: মুখই হল মনের আয়না। মানসিক চাপ, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তা মুখে ফুটে উঠবেই। কারও কারও মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যেতে পারে মানসিক চাপের কারণেই।
৫) সামজিক যোগাযোগ; সারা সপ্তাহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও ছুটির দিনে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চেষ্টা করুন। পুরনো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করলেও অনেক সময় মন ভাল হয়ে যায়। শরীর এবং মন ভাল রাখতে সামাজিক সম্পর্ক মজবুত হওয়াও জরুরি।