ইউক্রেনকে সমস্ত দিক থেকে ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শনিবারই মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইউক্রেনের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রাশিয়া। শনিবার আক্রমণের সুর চড়ালেন পুতিন। কিন্তু কেন? রুশ সেনার এক মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'ইউক্রেন বৈঠকে বসতে রাজি না হওয়ার পরই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত দিক থেকে ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলার।'
শুক্রবারই রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনা। গোটা শহর জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা। বোমার আঘাতে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে বহুতল। আতঙ্কে রাস্তায় ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষকে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন মাটির নিচে মেট্রো স্টেশন কিংবা বাঙ্কে। তবে ইউক্রেন জুড়ে রাশিয়ার সেনার দাপাদাপি সত্ত্বেও এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেননি পুতিন।
আসলে আমেরিকা কিংবা ন্যাটো সামরিক জোটের দেশগুলি ইউক্রেনে সেনা পাঠায়নি। ফলে মনে করা হচ্ছিল রাশিয়ার কিয়েভ দখল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু অভাবনীয় প্রতিরোধ দেখিয়েছে ইউক্রেন। পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ায় কেবল সেনা নয়, হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছেন সাধারণ মানুষও। দেশের মাটিকে শক্তিশালী রুশ বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতে লড়াই করছেন তাঁরা। এই প্রতিরোধের সামনে পড়ে পুতিনের পরিকল্পনা এখনও সফল হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার ফের ইউক্রেনকে বৈঠকে বসার আবেদন জানান পুতিন। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে কোনও বৈঠকে বসতে রাজি হয়নি ইউক্রেন। এরপরই এই নির্দেশ জারি করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
এদিকে ইউক্রেনের রুশ আগ্রাসন থামাতে এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেসরাসরি ফোন করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার বিকেল নাগাদ তিনি মোদিকে ফোন করে 'রাজনৈতিক সাহায্য'র আরজি জানালেন। টুইটে নিজেই এ কথা জানালেন তিনি। প্রায় ১ লক্ষ রুশ সেনা ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধ থামাতে একসঙ্গে কাজ করার আরজি জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
রাজশাহীর সময় /এএইচ