পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার (২৫ জুন) বেলা ১১টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা’র লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, গত বছরের চেয়ে ৩ টাকা বাড়িয়ে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া খাসির চামড়ার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, গত বছর প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ছিল ৪৭ টাকা থেকে ৫২ টাকা।
চলতি বছর অত্যধিক গরমের কারণে লবণ সহজলভ্য করতে পশুর হাটের পাশে লবণ বেচাকেনার ব্যবস্থা রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করে লবণের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মজুতবিরোধী অভিযান চালানো হবে। তবে এবারও যদি চামড়ার দাম কারসাজির মাধ্যমে কমানো হয়, তাহলে কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমোদন দেয়া হবে।
এর আগে গত ১৪ জুন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ, অবৈধ পথে পশু আনা ঠেকানোসহ সার্বিক বিষয়ে সচিবালয়ে ব্রিফকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সংবাদকর্মীদের জানান, এ বছর কোরবানিযোগ্য মোট গবাদি পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি, যা গত বছরের চেয়ে ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪৪টি বেশি। এ বছর কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং ২ হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদি পশু।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১২৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬১৪টি, খুলনা বিভাগে ১৫ লাখ ১১ হাজার ৭০৮টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২০৬টি, সিলেট বিভাগে ৪ লাখ ১০ হাজার ২২৫টি, রংপুর বিভাগে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭টি কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু রয়েছে।