স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ থেকে অন্তত ২২৭ অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ৩০ জনেরও বেশি অভিবাসীর মৃত্যুর খবরের একদিন পর বৃহস্পতিবার (২২ জুন) তাদের উদ্ধার করা হয়।
অভিবাসীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তাদের অসুস্থতা গুরুতর নয়।
এর আগে গত বুধবার (২১ জুন) গ্রান ক্যানারিয়ায় নৌকা ডুবে যাওয়ায় ৩০ জন অভিবাসী নিহত হওয়ার কথা জানায় সাহায্য সংস্থাগুলো।
পরে ল্যানজারোট ও গ্রান ক্যানারিয়া দ্বীপের কাছে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয় কোস্টগার্ড।
স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার কর্মীরা একজন শিশু ও এক ব্যক্তির মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছেন। আরও ২৪ জনকে উদ্ধার করেছেন।
তবে দাতব্য সংস্থা ওয়াকিং বর্ডারস ও অ্যালার্ম ফোন বলছে, ডুবে যাওয়া দুটি নৌকায় ৬০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ছিলেন।
ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেল ভিক্টর টরেস ঘটনাটিকে ‘বিয়োগান্তক’ বলে বর্ণনা করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অভিবাসনের ইস্যুতে ‘সমন্বিত ও সহায়ক’ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে অবস্থান হলেও ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ স্পেনের অংশ। অনেক অভিবাসী ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আশায় আফ্রিকা থেকে এই দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমণ করেন।
পশ্চিম আফ্রিকা-আটলান্টিকের এই অঞ্চলকে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক অভিবাসন রুট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে এ রুটে কমপক্ষে ৫৪৩ অভিবাসী নিহত বা নিখোঁজ হয়েছিল। এই সময়ে ৪৫টি নৌকা ডুবে থাকতে পারে। তবে এই রুটে ভ্রমণকারীদের তথ্য দুষ্প্রাপ্য ও অসম্পূর্ণ।
অভিবাসন প্রত্যাশীদের বেশির ভাগই জন্মভূমি মরক্কো, মালি, সেনেগাল, কোট ডি'আইভরি ও সাব-সাহারান আফ্রিকার অন্যান্য অংশে।
গত সপ্তাহে গ্রিক উপকূলে সাত শতাধিক অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যায়। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হলেও জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলছে, পাঁচ শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। সূত্র: বিবিসি