টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিন !


রিয়াজ উদ্দিন: , আপডেট করা হয়েছে : 20-06-2023

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিন !

সেই ১৯১২ সালে লিভারপুল থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে হিমবাহে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক। এই নিয়ে সিনেমা প্রায় সকলেই দেখেছেন। নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল এবার সেই ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে একটি গোটা সাবমেরিন। বহু মানুষ টিকিট কেটে এই সাবমেরিন ভাড়া করেছিলেন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখবেন বলে।

গত রবিবার যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর নিখোঁজ হয় সেটি। সাবমেরিনটির সন্ধানে জোর তৎপরতা চলছে। হারিয়ে যাওয়া সাবমেরিনটির নাম টাইটান। সাগরের তলদেশে যাত্রী পরিবহনের কাজে সেটি ব্যবহার করা হত। ট্রাকের আকৃতির এই সাবমেরিনটিতে চালক ও একজন ক্রুসহ মোট পাঁচজন আরোহী থাকতে পারেন। পানির নিচে সেটি চার দিনের অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।

এদিকে নিখোঁজ টাইটানের আরোহীদের মধ্যে ইউনাইটেড কিংডমের একজন ধনকুবের ছিলেন বলে জানা গেছে। তাঁর নাম হামিশ হার্ডিং। দিন কয়েক আগে ৫৮ বছর বয়সী এই শত কোটিপতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিনি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাচ্ছেন। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড প্রদেশের সেন্ট জন শহর থেকে টাইটানের যাত্রা শুরু হয়।

আটলান্টিকের তলদেশে যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, সেখান থেকে এর দূরত্ব ৬০০ কিলোমিটার। সেন্ট জন থেকে টাইটানকে পোলার প্রিন্স নামের একটি জাহাজে করে ধ্বংসাবশেষস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সাগরের তলদেশে যাত্রীদের নিয়ে যায় সাবমেরিনটি। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ ঘুরিয়ে আনতে এটির সময় লাগে প্রায় আট ঘণ্টা।

টাইটান পানির নিচে যাওয়ার পর যোগাযোগের জন্য সেটির ওপরে থাকা পোলার প্রিন্স থেকে ছোট ছোট বার্তা পাঠানো হয়। তবে এবার ওই বার্তার কোনো জবাব আসছে না। আর টাইটানে থাকা আরোহীদের বাইরে বেরিয়ে আসার কোনো উপায় নেই। কারণ, সেটির প্রবেশ পথগুলো বাইরে থেকে আটকানো থাকে। তাই সাবমেরিনটি পানির ওপরে ভেসে উঠলেও, সেটি বাইরে থেকেই কাউকে খুলতে হবে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]