দেশের তৈরি পোশাক খাতের বড় রপ্তানি বাজারগুলোতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হলেও নতুন বাজারে সম্ভাবনা বাড়ছে। সম্প্রতি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসের দেশভিত্তিক রপ্তানির এমন তথ্য উঠে এসেছে।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে মোট পোশাক রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬৭% প্রবৃদ্ধিসহ চার হাজার ২৬৩ কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে। অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৩২.৭৪ শতাংশ।
এতে দেখা যায়, একক বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে এ সময় রপ্তানি আয়ে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে নতুন বাজার জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়ায় রপ্তানি আয় বেড়েছে। এ ছাড়া কানাডার বাজারেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
এ সময় ইউরোপের বাজারে রপ্তানি হয়েছে দুই হাজার ১২২ কোটি ডলার, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৫০ শতাংশ।
জার্মানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.২২ শতাংশ। এই বাজার থেকে আয় এসেছে ৬০৩ কোটি ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আয় কমেছে ৫ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।
আগের অর্থবছরে ছিল ৮১৪ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
এদিকে অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি আয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে মোট রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৩২.৭৪ শতাংশ। এ সময় বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, সৌদি আরব ও ব্রাজিলে। এ সময় জাপানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৫.৮০ শতাংশ। আয় হয়েছে ১৪৫ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪১.৮২ শতাংশ, আয় হয়েছে ১০৬ কোটি ডলার। ভারতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৬.৪৪ শতাংশ, আয় হয়েছে ৯৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। মালয়েশিয়ায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫১.৭১ শতাংশ, আয় হয়েছে ২৭ কোটি ৯১ লাখ ডলার। তুরস্কে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৩.১৪ শতাংশ, আয় হয়েছে ২৫ কোটি ডলার। ব্রাজিলে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭৪.৬৪ শতাংশ, আয় হয়েছে ১৫ কোটি ১১ লাখ ডলার এবং সৌদি আরবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ শতাংশ, আয় হয়েছে ১৭ কোটি ২৫ লাখ ডলার।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক মন্দা, স্টোরগুলোতে কাপড়ের মজুদ বৃদ্ধি এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবে এই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রচলিত বাজারগুলোতে।