কোরবানি ও হজের মাস জিলহজ। হিজরি বছরের শেষ মাস এটি। এ মাসের ৯ তারিখ সারাবিশ্ব থেকে আগত মুসলিম উম্মাহ আরাফায় একত্রিত হবেন। পরদিনই বিশ্বব্যাপী পালিত হবে কোরবানি। জিলহজ মাসের এ দশদিনের আমল ফজিলতপূর্ণ।
চাঁদদেখা সাপেক্ষে আগামী ২০ জুন হতে পারে জিলহজের প্রথম দিন। ১৯ জুন মোতাবেক ২৯ জিলকদ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলেই শুরু হবে সন্মানিত মাস জিলহজ। সেদিন সন্ধ্যা থেকে কিছু আমল পালন করবে মুমিন মুসলমান। কী সেই আমলগুলো?
আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে সুরা ফাজরে জিলহজের প্রথম ১০ রাতের শপথ করে এ দিনগুলোর মর্যাদা তুলেছেন। প্রথম দুই আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শপথ ভোরবেলার! শপথ ১০ রাতের!’ তাফসিরে ইবনে কাসিরেও এ ১০ রাতের শপথ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১০ রাতের শপথ দ্বারা জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনই উদ্দেশ্য।
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তারা যেন নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহকে স্মরণ করে।’ (সুরা হজ : আয়াত ২৮) মুফাসসির সাহাবি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ‘(এ নির্দিষ্ট দিনসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য) জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন।’
জিলহজের প্রথম দশ দিনের ১০ আমল
১. জিলহজ মাসের শুরু থেকে কোরবানি করার আগ পর্যন্ত চুল ও নখ না কাটা।
২. যথাসম্ভব এই ১০ দিন সব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা।
৩. জিলহজ মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা। বিশেষ করে আরাফাতের দিন রোজা রাখা।
৪. সামর্থ্যবান হলে আল্লাহর নামে কোরবানি করা।
৫. বেশি বেশি নফল ইবাদত করার চেষ্টা করা।
৬. বেশি পরিমাণে আল্লাহ তাআলার জিকির করা।
৭. আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করা।
৮. সামর্থ্য থাকলে হজ করা।
৯. বেশি পরিমানে তাকবির (আল্লাহু আকবার) পাঠ করা।
১০. বেশি বেশি দান-সাদকাহ করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজ মাসব্যাপী নামাজ, রোজা (ঈদের দিন ছাড়া), দান-অনুদান, হজ, কোরবানি, জিকির আজকার, কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি কল্যাণকর কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।