এবার রুশবিরোধী ইউক্রেনীয় পালটা হামলার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
পালটা আক্রমণের এক সপ্তাহের মধ্যে কিয়েভ সাতটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করার পর মঙ্গলবার বিষয়টি স্বীকার করে নেন তিনি।
প্রিগোজিন বলেন, আক্রমণ শুরু করেছেন ইউক্রেনীয়রা। তারা সুনির্দিষ্টভাবে এগোচ্ছে—সব কিছু সঠিকভাবে করছে। তার ধারণা, ইতোমধ্যে প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধার করে ফেলেছেন ইউক্রেনীয় সেনারা।
এদিকে ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার সোমবার এ রকমই দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কিয়েভের সেনারা প্রায় সাত গ্রাম পুনরুদ্ধার করে ফেলেছেন, যা প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
প্রিগোজিন বলছেন, তারা সাবধানে শান্তভাবে এগোচ্ছেন। এতে কিছু লেপার্ড ও ব্র্যাডলি ট্যাংক অবশ্য হারাচ্ছেন তারা। এটিকে যুদ্ধের সাধারণ ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
প্রিগোজিনের এমন দাবি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কেননা পুতিন বলেছিলেন— পালটা আক্রমণে ‘ব্যাপক ক্ষতির’ শিকার হচ্ছে ইউক্রেন।
ওয়াগনারপ্রধান বলেন, আমাদের একত্রিত হয়ে লড়তে হবে। শত্রু মোকাবিলার মতো যথেষ্ট লড়াই করছি না আমরা।
পালটা আক্রমণ জোরদার ইউক্রেনকে আরও ৩২৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন সহায়তায় চলমান পালটা আক্রমণ আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদী মার্কিন প্রশাসন।
সম্প্রতি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি করবে না বলে জানিয়েছে ওয়াগনার গোষ্ঠী। এ বিষয়ে প্রিগোজিন বলেছিলেন, ‘রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কোনো চুক্তিসই করবে না ওয়াগনার। তিনি আরও বলেছিলেন, মন্ত্রণালয়ের এই আদেশ ওয়াগনারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধে পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ না করার জন্য রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও পদাতিক বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন প্রিগোজিন। তবে এসব নিয়ে বরাবরই মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন শোইগু ও গেরাসিমভ।
সূত্র: নিউজউইক