২০২০ সালে নাটোর সদরের চরতেবাড়িয়া এলাকায় এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
সোমবার (১২ জুন) গভীর রাতে পাবনা জেলার পাবনা সদর থানাধীন পৈলানপুর চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: নাটোর জেলার সদর থানার -রতেবাড়িয়া গ্রামের মোঃ আয়নাল হোসেনের ছেলে মোঃ নাঈম (২৪), একই গ্রামের মেছের মন্ডলের মেয়ে হালিমা খাতুন(৪২) এবং মোঃ নাঈমের স্ত্রী আম্বিয়া বেগম(২০)।
সোমবার দুপুরে র্যাব-৩, এর পাঠানো াএক প্রেস ুিবজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর নাটোর সদরের চরতেবাড়িয়া এলাকার এক কিশোরীকে গ্রেফতার নাঈমের নেতৃত্বে কয়েকজন তরুণ মিলে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে পাবনায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাড়িতে আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। কিছুদিন পর গ্রেফতার আসামি নাঈম তরুণীকে জোড়পূর্বক বিয়ে করে। এরপর নির্যাতন বিভিন্ন সময় নির্যাতণ চালিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে রাজি হতে বাধ্য করে। এই ঘটনার একমাস পর তরুণী তাদের এই অশ্লীল স্বার্থ হাসিলের কাজে আর জড়িত হবে না দাবি করলে ধর্ষক নাঈম ও তার বিবাহিত স্ত্রী এবং হালিমা তার নিকটাত্মীয় হালিমা ও আম্বিয়া মিলে তাকে বেধড়ক মারপিট করে অজ্ঞান অবস্থায় ঘরে ফেলে রাখে।
জ্ঞান ফিরলে সেখান থেকে কৌশলে তরুণী পালিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে আসে এবং তার পরিবারের নিকট সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনায় তরুণীর পিতা বাদী হয়ে নাটোর জেলার নাটোর সদর থানায় ১১ ডিসেম্বর ২০২০ লম্পট নাঈম, হালিমা, আম্বিয়াসহ মোট ৬ জনের নামে একটি অপহরণ, অশ্লীল কাজে বাধ্য করা-সহ ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বিজ্ঞ আদালত গত ১৩/০৪/২০২৩ তারিখ ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে নাঈম, হালিমা ও আম্বিয়াকে গতরাতে র্যাব-৩ এর সদস্যরা গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।