ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। ইউক্রেনের একাধিক শহরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ান বাহিনী। যার ফলে ইউক্রেন জুড়ে মৃত্যু মিছিল লেগেই রয়েছে। তবে রাশিয়াকেও জবাব দিয়ে চলেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যার ফলে রাশিয়ান বাহিনীতেও মৃত্যু মিছিল লেগে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ ১১ জুন পর্যন্ত যুদ্ধে রাশিয়ান সৈন্যদের ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করেছে।
তথ্য অনুসারে, রাশিয়ান বাহিনীর ৯৮০ জন্য সৈন্যকে একদিনে নতুন করে হত্যা করেছে রাশিয়ান বাহিনী। তথ্যে বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে রাশিয়ান বাহিনীর ২১৫,৬৪০ জন সৈন্যকে এখনও পর্যন্ত হত্যা করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। উল্লেখ্য, ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েই যাচ্ছে রাশিয়ান বাহিনী। ডিনিপ্রো এবং ডিনিপ্রপেট্রোভস্ক রেজিতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী।
ডিনিপ্রপেট্রোভস্কে হামলার বিষয়ে জানিয়েছেন, আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি লাইসাক। এছাড়াও নিকোপোল জেলায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে খারকিভ, পোলতাভা, নিকোপল সহ ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোনোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। বিমান হামলা হলে তা আটকানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। জানা যাচ্ছে, বাখমুতে এখনও ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে।
এছাড়াও জানা যাচ্ছে, রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গতকাল একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলা চালায়। ৮ টি ক্ষেপণাস্ত্র, ৪ টি ইস্কান্দার গ্রাউন্ড-ভিত্তিক ক্রুজ মিসাইল এবং ৩৫ টি ইরানি অ্যাটাক ইউএভি বিমান দিয়ে গতকাল রাশিয়ান বাহিনী হামলা চালায় বলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। গতকাল, ইউক্রেনীয় সৈন্যদের অবস্থান এবং জনবহুল অঞ্চলের বিরুদ্ধে রাশিয়ান বাহিনী বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিয়ে ৯২ টি বিমান হামলা এবং ৪৫ টি গোলাবর্ষণ করেছে বলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, রাশিয়ান বাহিনীর ওপর খেরসনের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ এলাকাতেও নৃশংস ভাবে হামলা চালানোর অভযোগ উঠছে।
খেরসন বন্যার ফলে ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বন্যার মধ্যেই খেরসনে রাশিয়ান বাসিন্দাদের ছাড়া বাকিদের ওপর রাশিয়ান বাহিনী ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের জয়ের বিষয়ে আশাবাদী ইউক্রেনীয় বাহিনী।