দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মদ্যপান করা হলেও ইউরোপ মহাদেশে এমন কিছু দেশ রয়েছে, যেখানকার মদের সুনাম পৃথিবীজোড়া। এই সব দেশে মদের সাগর বয়ে চলে বললেও অত্যুক্তি হয় না। আসলে এই সব দেশগুলিতে ধান, গমের মতো খাদ্যশস্য চাষ তো হয়ই। সেরকমই আঙুর চাষের জন্যও এখানকার আবহাওয়া ও ভৌগোলিক পরিস্থিতি একেবারে আদর্শ। আর এই আঙুর দিয়েই তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের মদ।
তবে ইউরোপ তথা গোটা বিশ্বে সবথেকে বেশি মদ্যপান করা হয় চেক রিপাবলিকে। ৭৮,৮৭১ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছবির মতো সাজানো এই দেশের জনসংখ্যা মাত্র ১ কোটি ৫ লক্ষ।
বসবাসযোগ্য এই দেশটি সবথেকে নিরাপদ দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। এখানকার জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বিদেশ থেকে আগত। আবার চেক রিপাবলিককে ‘দুর্গের দেশ’ বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। কারণ এখানে দু’হাজারেরও বেশি দুর্গ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, খেলাধূলার জগতেও ছোট্ট এই দেশটির অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষ করে মহিলা টেনিসে এখানকার মেয়েরা বিশ্বব্যাপী নাম করেছে।
মদ্যপানের ক্ষেত্রেও সারা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এই দেশটি। আসলে চেক রিপাবলিকে মাথাপিছু অ্যালকোহল সেবনের পরিমাণ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। এখানে এক জন মানুষ গড়ে বার্ষিক ২১০.৪ লিটার মদ্যপান করে থাকে। সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিশ্বের কোনও দেশেই জনপ্রতি এত বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল পান করা হয় না।
ভারতীয় স্কেলের হিসেবে পরিমাপ করা যাক। আমাদের দেশে ৭৫০ মিলিলিটারের মদের বোতল পাওয়া যায়। এর নীচে ৩৫০ মিলিলিটার এবং ১৮০ মিলিলিটারের বোতলও রয়েছে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এটাই পরিমাপ। এবার আসা যাক পেগের প্রসঙ্গে। ছোট পেগ হল ৩০ মিলিলিটার এবং বড় পেগ হয় ৬০ মিলিলিটার পরিমাপের। এই হিসেব থেকে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, চেক রিপাবলিকে প্রতিনিয়ত কত পরিমাণ মদ্যপান করা হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, চেক রিপাবলিকের বাসিন্দারা প্রতিদিন গড়ে ৬০০ মিলিলিটার মদ্যপান করে থাকেন।