গ্রীষ্মের মরশুমে মানেই আমের মরশুম ৷ রসালো মিষ্টি সুস্বাদু এই ফলের জুড়ি মেলা ভার৷ মন খাই খাই বললেও অনেক সময় শরীর বলে না৷ বাধ সাধে বহু রোগ৷ তার মধ্যে অন্যতম ডায়াবেটিস৷ ব্লাড সুগারের সমস্যাতেও এখন কাবু বহু মানুষ৷ প্রিয় ফলকে চেখে দেখার সুখ থেকে বঞ্চিত যান এইসব শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা৷ সুগার ফ্রি হওয়ার দৌলতে মিষ্টি খাওয়ার তবুও সুযোগ রয়েছে৷ কিন্তু মিষ্টি ফল যেমন আমের ক্ষেত্রে এতদিন সেই সুযোগ ছিল না৷ তবে এবার ব্লাড সুগারের রোগীরাও মনের সুখে খেতে পারবেন আম৷
কারণ আমও এবার হয়েছে সুগার ফ্রি৷ রীতিমতো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা তবেই এই বিশেষ আমকে সুগার ফ্রির তকমা দেওয়া হয়েছে। সুগার ফ্রি আম তৈরি করে সকলকে তাক লাগিয়েছেন রাম কিশোর সিং। মহারাষ্ট্রের এই কৃষককে এএসএম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উদ্যান রত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সুগার ফ্রি আম তৈরির এমন অভিনব ভাবনা এল তাঁর মাথায় এল কীভাবে?
আসলে রাম কিশোর নিজেও ২০০৮ সাল থেকে ডায়বেটিস আক্রান্ত৷ নিজের প্রিয় ফল বহুদিন মন চাইলেও খেতে পারেননি তিনি৷ এর আগেও বহুবার গাছগাছালি নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এই কৃষক৷ ইতিমধ্যেই কৃষিক্ষেত্রে অনেক পুরস্কার এবং ক্যুইজ প্রতিযোগিতাও জিতেছেন তিনি৷
রাম কিশোর বাবু বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এই পদ্ধতি৷ টিএসএস অর্থাৎ সাধারণভাবে মালদার আমে দ্রবণীয় পদার্থ ২৫ পর্যন্ত থাকে৷ কিন্তু রাম কিশোর বাবুর ফলানো আমের টিএসএস মাত্র ১২-১৩ থাকে৷ ডায়াবেটিস রোগীরা মনের সুখে খেতে পারবেন এই আম৷ এই আম ল্যাবে পরীক্ষা করেও হয়েছে৷
সুগার ফ্রি আমের অনেকগুলি চারাও তৈরি করেছেন তিনি ৷ নার্সারিতে ৪ হাজার টাকাতে পাওয়া যাচ্ছে ৷