দেখতে দেখতে বলিউডে এক দশক পার করে ফেলেছেন সোনাক্ষী সিনহা। ২০১০ সালে ‘দাবাং’ ছবির হাত ধরে রুপোলি জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন শত্রুঘ্ন কন্যা। সম্প্রতি আমাজন প্রাইম ভিডিয়োর ‘দাহাড়’ সিরিজে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে নজর কেড়েছেন সোনাক্ষী। পেশাদার জীবনে সাফল্যের পাশাপাশি নায়িকার ব্যক্তিগত জীবনও রয়েছে চর্চায়। এর মাঝেই ঠিকানা বদল করছেন সোনাক্ষী।
এতদিন বাবা-মা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গেই জুহুর ১০ তলা বহুতল ‘রামায়ণ’-এ থাকতেন সোনাক্ষী। তবে এবার সুবিশাল সাগরমুখী ফ্ল্যাট কিনেছেন সোনাক্ষী, বান্দ্রা ওয়ারলি সি-লিঙ্ক ঘেঁষা অ্যাপার্টমেন্টেই নিজের মনের ঠিকানা গড়ে তুলছেন সোনাক্ষী। বিরাট ড্রয়িং রুমের কাঁচের জানালা দিয়ে সুস্পষ্ট আরব সাগর। সেই ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন সোনাক্ষী। এখনও অন্দরসজ্জার কাজ চলছে। সোফা-সহ ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র প্লাস্টিক দিয়ে মোড়া। রোদ ঝলমলে সকালে ফ্ল্যাটের মধ্যে জড়ো করে রাখা আসবাবের মাঝে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন অভিনেত্রী।
সোনাক্ষীর এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের ঝলকেই মুগ্ধ নেটপাড়া। তবে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েও মুশকিলে অভিনেত্রী। তাঁর নায়িকার কথায়, ‘প্রাপ্তবয়স্ক হওয়াটা ভীষণ কঠিন’।
আসলে নিজের বাড়ি সাজাতে গিয়ে যে নাজেহাল অবস্থা সোনাক্ষীর, সেই কথাই এই পোস্টে বুঝিয়েছেন ‘দাহাড়’ অভিনেত্রী। সোনাক্ষীর কথায়, মাথাখারাপ হয়ে যাচ্ছে!' আসলে কোন টবের সঙ্গে কোন গাছ লাগানো হবে, ঘরের আলোকসজ্জা কেমন হবে, গদি-কার্পেট-কুসন কেমন হলে মানাবে। চেয়ার-টেবল থেকে চামচ, কাঁটা, বেসিন এমনকী ময়লা ফেলার জায়গা কেমন হবে সবটাই দেখতে হচ্ছে তাঁকে। এর জেরেই আপাতত মাথা ভোঁ ভোঁ করছে তাঁর।
সোনাক্ষীকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন সতীর্থরা। মুম্বইয়ের বুকে চার বেডরুমের ফ্ল্যাট কেনা মোটেই সহজ কাজ নয়। শাকিব সালিম লেখেন, ‘তোমাকে নিয়ে গর্বিত সোনা’। সোনাক্ষীর ডবল এক্স এল কোস্টার রাঘবেন্দ্র মাহাত লেখেন, ‘অবশেষে…. তর সইছে না কবে ওখানে যাব’।
বাবার বাড়িতে সোনাক্ষীর নিজস্ব একটা ফ্লোর ছিল। তা সত্ত্বেও ২০২১ সালে নিজের উপার্জন করা টাকায় বান্দ্রায় এই চার বেডরুমের ফ্ল্যাট কেনেন সোনাক্ষী। আপতত নায়িকার হাতে রয়েছে একগুচ্ছ প্রোজেক্ট, ‘কাকুদা’, ‘নিকিতা রায়’, ‘দ্য বুক অফ ডার্কনেস’-এর মতো ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। শেষের ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সোনাক্ষীর ভাই কুশ সিনহা।