মস্কোতে ড্রোন হামলার মাধ্যমে ইউক্রেন রুশ নাগরিকদের ভয় দেখাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (৩০ মে) মস্কোর আবাসিক এলাকায় ড্রোন হামলার পর রুশ প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন। খবর বিবিসির।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, বেসামরিকদের নিশানা করা হয়েছে; কিন্তু আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সন্তোষজনকভাবে হুমকি মোকাবিলা করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অন্তত আটটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এগুলো আবাসিক ভবনে বিধ্বস্ত হয়ে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। তবে ইউক্রেন এসব হামলার দায় অস্বীকার করেছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরু হওয়ার পর এ প্রথম মস্কোর আবাসিক এলাকায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটলো।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সবিয়ানিন বলেছেন, কেউ গুরুতর আহত হয়নি। বেশ কয়েকটি ড্রোন শহরের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরতলিতে ভূপাতিত হয়েছে। এখানে সিনিয়র কর্মকর্তারা বসবাস করেন।
পুতিন বলেন, সম্প্রতি ইউক্রেনের সামরিক সদরদফতরে রুশ হামলার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মস্কোতে এ হামলা চালানো হয়েছে। কিয়েভের শাসকরা ভিন্নপথ ধরেছে। তারা রাশিয়াকে ভয় দেখানোর পথে হাঁটছে; রুশ নাগরিকদের ভয় দেখাতে চাইছে এবং আবাসিক ভবনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে এটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ইঙ্গিত। এমন কিছুর পাল্টা পদক্ষেপ নিতে তারা আমাদের উসকানি দিচ্ছে।’
তবে বিবিসি স্বাধীনভাবে এ ধরনের কোনো হামলা হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে পারেনি। বিবিসির পক্ষ থেকে পুতিনের রুশ হামলার দাবির সত্যতাও যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে, মস্কোর গভর্নর আন্দ্রেই ভরোবায়োভ তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছেন, মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়ার পথেই বেশ কয়েকটি ড্রোনকে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এ ড্রোন হামলা চালিয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া ভিডিওগুলো থেকে দেখা গেছে, মস্কোর আকাশে উড়ন্ত ড্রোনগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করা হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন ভবন থেকে ধসে পড়া ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে ভবনগুলোর পাশেই।